লালমনিরহাটে “নো হেলমেট, নো পেট্রোল” কর্মসুচী মানছে না তেল পাম্প গুলো
আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট
লালমনিরহাটে “নো হেলমেট, নো প্রেট্রোল” নামে পুলিশ বিভাগের বিশেষ কর্মসুচী মানছে না তেল পাম্প গুলো। ফলে সড়ক দূর্ঘটনা রোধ ও মানুষজনের হেলমেট ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে পুলিশের এ বিশেষ কর্মসুচী ভেস্তে যেতে বসেছে।
জানা গেছে, দূর্ঘটনা রোধে ও মানুষজনের হেলমেট ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মহা-সড়কে ইজি বাইক, নচিমন, করিমন চলাচল নিষেধসহ তেল পাম্প মালিকদের হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালকদের কাছে পেট্রোল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন পুলিশ।
ঘোষনা করেন “নো হেলমেট, নো প্রেট্রোল” নামে একটি কর্মসুচী। মঙ্গলবার জেলার কয়েকটি তেলপাম্প ঘুরে পুলিশের এ কর্মসুচীর সফলতা দেখা গেলেও একদিন পর বুধবার তা ভেস্তে যেতে বসেছে। জেলার তুষভান্ডার রওশন ফিলিং স্টেশন, কালীগঞ্জ কাব্য দিগন্ত ফিলিং স্টেশন, ভোটমারী মর্তূজা ফিলিং স্টেশন, হাতীবান্ধা ডিএস ফিলিং স্টেশন, হাতীবান্ধা ফিলিং স্টেশন ও বড়খাতা ফিলিং স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালকদের মাঝেও পেট্রোল বিক্রি করছে পাম্প গুলো।
আবার অনেক ফিলিং স্টেশনে পেট্রোল বিক্রিতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। পেট্রোল পাম্প’র একটু দুরে কোন দোকানে কয়েকটি হেলমেট রাখা হয়েছে। মোটর সাইকেল চালকদের বলা হচ্ছে, পেট্রোল ক্রয়ের আগে ওই দোকান থেকে হেলমেট সংগ্রহ করতে। আবার পেট্রোল ক্রয়ের পর ওই হেলমেট নিদিষ্ট দোকানে ফিরিয়ে দিচ্ছে চালকরা। এ নিয়ে জনসাধারনের মাঝে নানা কৌতুহলও দেখা দিচ্ছে। এ দিকে মহাসড়কে ইজি বাইক চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ বিপাকে পরেছে সাধারন মানুষ। গোটা জেলায় বাইপাস সড়ক না থাকায় বুড়িমারী-লালমনিরহাট মহাসড়কটিই চলাচলের একমাত্র পথ।
এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষক সফিকুল ইসলাম ও কলেজ ছাত্র মাসুদ আহম্মেদ জানান, সড়ক দূর্ঘটনা রোধে পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে !নো হেলমেট নো পেট্রোল” নামক যে বিশেষ কর্মসুচী নিয়েছেন তা অবশ্যই প্রসংশার দাবিদার। কিন্তু কিছু তেলপাম্প মালিক দ’ুদিন না যেতেই পুলিশের ওই বিশেষ কর্মসুচী মানছে না। এতে পুলিশের নজরদারী প্রয়োজন।
তবে এ বিষয়ে একাধিক তেলপাম্প মালিকদের সাথে কথা হলে তারা হেলমেট বিহীন চালকের কাছে পেট্রোল বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানায়, সড়ক দূর্ঘটনা রোধের পাশাপাশি হেলমেট ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে “নো হেলমেট নো পেট্রোল” কর্মসুচী ঘোষনা করা হয়েছে। এ কর্মসুচী বাস্তবায়নে জনসাধারনকে সবার আগে এগিয়ে এসে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পুলিশের একার পক্ষে এ কর্মসুচীর সফলতা আনা সম্ভব নয়।