'খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র সমাধান রাজপথ'
আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করেই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দেশে আর একতরফা নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে উল্লেখ করে দলের শীর্ষনেতারা তফসিল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানান। বেগম জিয়ার কারামুক্তি দাবিতে রাজধানীতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তারা।
ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগানে স্লোগানে দলের চেয়ারপার্সনের মুক্তি দাবি করেন তারা। অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষনেতারা অভিযোগ তুলে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেগম জিয়াকে মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে না। যেকোনো নির্বাচনের আগে তাকে মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, 'আমাদের মধ্যে কেউ যদি আড়ালে আবডালে নির্বচনে যাওয়ার চেষ্টা করে তাদের সমুচিত জবাব দেয়ার জন্যে আপনারা সজাগ থাকবেন। আবার নতুন করে কেউ বেইমানি করতে চায় তাদের জবাব দেয়া হবে।'
মির্জা আব্বাস বলেন, 'এত অত্যাচার নির্যাতনের পরেও বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে বসে থাকেনি। যে কোন কিছুর বিনিময়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো ইনশাল্লাহ। তাকে নিয়েই আমরা নির্বাচনে যাবো।'
আন্দোলন ছাড়া বেগম জিয়ার কারামুক্তির কোনো পথ নেই বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি নেতারা। মওদুদ আহমেদ বলেন, 'আইনি প্রক্রিয়ায় আর সম্ভব নয় বলেই আমি মনে করি। এবং তার মুক্তির একটাই পথ সেটা হলো রাজপথ।'
তফসিল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা। খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, 'আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপিকে ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। হতে দেয়া হবে না।'
বেলা ১২টার দিকে পানি পান করিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি টানেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ। প্রতীকী অনশন থেকে ফেরার পথে কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।