বাগেরহাট-১ আসনে আওয়ামী লীগ জয় ধরে রাখতে ব্যস্ত, বিএনপির ৫ নেতা মাঠে
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:
বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী)একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেএখন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে গেছে। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে থেমে নেই আলোচনা-সমালোচনা।আওয়ামী লীগ জয় ধরে রাখতে ব্যস্ত, বিএনপির ৫ নেতা মাঠে। ভৈরব ও মধুমতি নদী বিধৌত বাগেরহাট জেলার উত্তরের জনপদ ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-১ সংসদীয় আসন। বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়কে মধুমতি নদী বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলাকে পৃথক করলেও যুগ যুগ ধরে গোপালগঞ্জের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব জেলার উত্তরের এই তিন উপজেলায় বহমান।
স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে অধিকাংশ জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। এ আসন থেকে বরাবরই নির্বাচন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর উপনির্বাচনে তার আপন চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীন নির্বাচন করেন। তিনি একনাগাড়ে ১৮ বছর ধরে এ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আছেন।
এ দীর্ঘ সময়ে তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করে গণমানুষের নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নামের পরেই থাকছে শেখ হেলাল উদ্দীনের নাম। তবে শেখ হেলাল উদ্দীন অন্য কোনো সংসদীয় আসনে প্রার্থী হলে তার ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময় প্রার্থী হতে পারেন এমনটি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র। আসনটি পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটিতে। বিগত সময়ে মুসলিম লীগ, জাতীয় পার্টি বা বিএনপি এই এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে বার বার।
স্থানীয়রা বলছেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আসনটি বিরোধীদের জন্য দুর্ভেদ্য হয়ে থাকবে। সপ্তম থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত টানা চারটি মেয়াদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এই আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত। এলাকার সাধারণ মানুষ এই আসনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদেরই দেখতে চান সব সময়, এমনটা মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। তবে জাতীয় রাজনীতির পেক্ষাপটে বিএনপি এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলমুক্ত করতে মরিয়া। স্থানীয় বিএনপি নেতারা মনে করেন, আগামী নির্বাচনের ভালো পরিবেশ থাকলে আসনটি তাদের দখলে আসবে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায় স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ খায়ের ৬৯ হাজার ৫শ ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ সময়ে তার প্রতিদ্বন্ধিতা করে ন্যাপ ভাসানীর প্রার্থী মুজিবুর রহমান পেয়েছিলেন ৮ হাজার ৯শ ৬৭ ভোট। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এস এম লায়েকুজ্জামান বিএনপির সৈয়দ মোজাহিদুর রহমানের কাছে পরাজিত হন। তিনি পেয়েছিলেন ২৮ হাজার ৭শ ১১ ভোট। এস এম লায়েকুজ্জামান পেয়েছিলেন ১৭ হাজার ৪ শ ৯১ ভোট। ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের এম এ খায়ের ৫৯ হাজার ৭শ ৪৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বার এমপি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মোজাহিদুর রহমান যিনি আগের মেয়াদে ঐ আসনে বিএনপি দলীয় এমপি ছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ৩১ হাজার ২শ ভোট। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডা. মোজাম্মেল হোসেন ৬২ হাজার ৪৫ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রার্থী বিএনপির মুজিবুর রহমান পান ৪০ হাজার ১ শ ৫৫ ভোট।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিনাভোটে বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমান কয়েক মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হন। পরবতীর্তে একই বছরের ১২ জুন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই আসন থেকে ৭৭ হাজার ৩শ ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম বিএনপি প্রার্থী মুজিবুর রহমান পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ২শ ৯৯ ভোট। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা আসনটি ছেড়ে দিলে তার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীন উপ নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে বাগেরহাটের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-১ আসনে ১ লাখ ৬ হাজার ২শ ৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমান পেয়েছিলেন ৮২ হাজার ৯শ ২২ ভোট।আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে মাঠে কাজ করছেন পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং থেকে শুরু করে নিয়মিত দলীয় কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার এবং গণসংযোগ করে তাঁরা জানান দিচ্ছেন নিজেদের উপস্থিতি।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী পাঁচ নেতা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল আলম, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মাসুদ রানা ও খুলনা বিভাগীয় জাসাসের সাবেক নেতা মনজুর মোর্শেদ স্বপন।
বাগেরহাট-১ আসনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভোটে মূল বিভাজন এনে দেয় চিতলমারী উপজেলার সংখ্যালঘু ভোট। তাই স্থানীয়রা চিতলমারী উপজেলাকে বলে থাকেন ‘আওয়ামী লীগের ভোটব্যাঙ্ক’। এই আসনের বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোর ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলায় এই দুই দলের ভোটের ব্যবধান তেমন বেশি থাকে না। ফলে বরাবরই জয়ের নিয়ামক হয়ে ওঠেন চিতলমারীর ভোটাররা। আর এখানকার সিংহভাগ ভোটই যায় আওয়ামী লীগের বাক্সে। তাই বিরোধীদের এবারের বিশেষ মনোযোগ যে চিতলমারী উপজেলার ভোটারদের দিকেই থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
২০০৬ সালে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারণে সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রলম্বিত হয়। অবশেষে ঐ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাগেরহাট-১ আসন থেকে ইতিপূর্বে দুই বার নির্বাচিত এমপি শেখ হেলাল উদ্দীন মামলাসহ নানা জটিলতায় দেশের বাইরে থাকায় তিনি এই নির্বাচনে অংশ নেননি। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আবারও এই আসন থেকে নির্বাচন করে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯শ ৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু পান ৫৮ হাজার ৫শ ৩৩ ভোট। পরে শেখ হাসিনা আসনটি ছেড়ে দিলে শেখ হেলাল উদ্দিন দেশে ফিরে উপ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির আলোচিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হেলাল উদ্দীন এ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
বাগেরহাট-১ আসনে এমপি হিসেবে শেখ হেলাল উদ্দিন দলে ও দলের বাইরে এখন এক প্রকার অপ্রতিদ্বন্দ্বি। তার মেয়াদকালে এলাকার অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে ভোটারদের এই আস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে সাধারণ মানুষর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
বাগেরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল আলম সানা অমৃতবাজার পত্রিকাকে বলে, আমাদের নেতা শেখ হেলাল উদ্দিন বিশাল মনের অধিকারী। তার নেতৃত্বে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। আমাদের নেত্রী নিজে ১৯৯৬ সালে শেখ হেলাল উদ্দিনকে এই এলাকার এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আমরা শেখ হাসিনার নির্দেশেই কাজ করছি।
এলাকার সার্বিক উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে শুধু বাগেরহাট-১ আসনই না, বাগেরহাট জেলা জুড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শেখ হেলাল উদ্দিন এখন ক্ষমতার কেন্দ্রে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ এখনও এই আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রকৃতি ও বিরোধী পক্ষের শক্তি সামর্থ বিচারে আওয়ামী লীগ কৌশলগত কারণে এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হেলাল উদ্দিন দলের নির্দেশে পার্শ্ববর্তি বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। ২০০১ এর সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তিনি বাগেরহাট-১ এবং বাগেরহাট-২ আসন থেকে সরাসরি আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, আসন ওয়ারী আওয়ামী লীগের প্রার্থী এখনও নির্ধারণ হয়নি। ফলে প্রার্থী নির্বাচনের সাংগঠনিক প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যাকে মনোনীত করবেন তিনিই প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
তিনি দাবি করেন, অতীতের যে কোন সময়ের থেকে এখন বাগেরহাট জেলায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম সুদৃঢ়। অন্য দলের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন। তবে আমরা তাদের ব্যাপারে সজাগ আছি।
এ দিকে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক খ্যাত বাগেরহাট-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে ভোটারদের মাঝে কৌতুহল রয়েছে। বিগত দিনে বিএনপির প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান একাধিকবার এই আসনে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। একপর্যায়ে ২০০৮ সালে বিএনপি তাদের প্রার্থী পরিবর্তন করে জেলা বিএনপির অন্যতম সহসভাপতি অ্যাড. শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপুকে প্রার্থী করলে তিনিও পরাজিত হন। তবে তিনি এবারও এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রচেষ্টা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। এরই অংশ হিসেবে এলাকায় যোগাযোগ বাড়িয়েছেন এই বিএনপি নেতা।
জানতে চাইলে অ্যাড. দিপু বলেন, আওয়ামী লীগ প্রধান ও বর্তমানে দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাধারনত আমাদের আসনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে নিশ্চিত থাকেন। ২০০৮ এ আমি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হয়ে তার প্রতীপক্ষ হিসাবে নির্বাচন করেছি এবং মাইলফলক স্থাপন করা ভোট পেয়েছি যা ছিল ৭০ হাজারের কাছাকাছি। দলীয় ও ক্ষমতার প্রভাব, গোপালগঞ্জ ও টুংগীপাড়া সংযুক্ত এ আসনে অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তারসহ অবস্থান গত কারণেই অঢেল পরিমান আর্থিক ব্যায়ের সংগতিও তাদের বেশি, এ কারণে ওই আসনে নির্বাচন করা খুবই দুরহ ও ব্যায়বহুল। তদুপরি বিদ্যমান অবস্থা, ধারাবাহিক অবহেলা এবং এ অঞ্চলের প্রতি আওয়ামী লীগ দলীয় ও ভায়াবহ প্রশাসনিক নির্যাতনের ফলে নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন এবং আমাকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী করা হলে ইনশাল্লাহ যে কোন প্রার্থীকে পরাজিত করে, দলীয় নেতাকর্মী, পারিবারিক সুনাম ঐতিহ্য এর ধারাবাহিকতায় এলাকার জনগণকে সাথে নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবেলা করে ওই আসনে জয় লাভ করার ব্যাপারে আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী।
তবে এই আসনে দিপু একাই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী না। এই আসনের চিতলমারী এলাকার বাসিন্দা ও কেন্দ্রীয় জাসাস নেতা মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন এবং মোল্লাহাটের সন্তান, রাজধানীর ধানমণ্ডি থানা বিএনপির সভাপতি শেখ রবিউল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে। এমনকি একাধিকবার পরাজিত জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শেখ মুজিবুর রহমানের নামও শোনা যাচ্ছে প্রত্যাশী তালিকায়।
গণফোরামের অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুরের নামও শোনা যাচ্ছে। বড় দুই দলের বাইরে জাতীয় পার্টি অথবা ইসলামী আন্দোলনের কোন প্রার্থীর নাম তেমন শোনা না গেলেও ।