বকেয়া মজুরীর দাবিতে কোষ্টার হেজ শ্রমিকদের এম.এস.টি. মেরিন সার্ভিস এর অফিস ঘেরাও
ওমর ফারুক
বকেয়া বেতনের দাবীতে চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত চট্টগ্রাম কোষ্টার হেজ শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. নং- ১৪০৫ এর শ্রমিকরা গতকাল দুপুর ১২ টায় আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডোস্থ সি.এন.এফ. টাওয়ারের চতুর্থ তলায় অবস্থিত এম.এস.টি. মেরিন সার্ভিস এর অফিস ঘেরাও করে।
প্রায় তিনশতাধিক শ্রমিক এক যোগে গিয়ে সি.এন.এফ. টাওয়ারের নিচে অবস্থান নেয়। পরে তাদের সভাপতি জেবল হক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সফি ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক বাবুলের নেতৃত্বে শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দল এম.এস.টি. মেরিন সার্ভিস এর অফিসে যায়। এসময় এম.এস.টি. মেরিন সার্ভিস এর স্বত্বাধিকারী ও বন্দর লাইটার হেজ ঠিকাদার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি অমল বাবু অফিসে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। মূলত চট্টগ্রাম বন্দর কোষ্টার হেজ শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা বন্দর লাইটার হেজ ঠিকাদার মালিক সমিতির অধীনে কাজ করে থাকে।
আলোচনার এক পর্যায়ে অমল বাবু বন্দর লাইটার হেজ ঠিকাদার মালিক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে মোবাইল ফোনে আলাপ করে শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে এক লক্ষ টাকা নগদ প্রদান করেন এবং অবশিষ্ট টাকা প্রদানের ব্যাপারে চট্টগ্রাম কোষ্টার হেজ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে আগামী ১৪ই অক্টোবর রবিবার বৈঠকের দিন ধার্য করেন। ইতি মধ্যে খবর পেয়ে যে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে ডবলমুরিং থানারা এস.আই. সালাম পুলিশের একটি দল নিয়ে সি.এন.এফ. টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেন। পরবর্তিতে মালিক পক্ষের আসা ব্যঞ্জক প্রতিশ্রæতির পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর দেড়টার দিকে শ্রমিকরা সি.এন.এফ. টাওয়ার এলাকা থেকে চলে যায়।
এব্যাপারে ডবলমুরিং থানার এস.আই. সালামের সাথে তার মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন চট্টগ্রাম কোষ্টার হেজ শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা তাদের বকেয়া মজুরির দাবিতে সি.এন.এফ. টাওয়ারের সামনে অবস্থান নিয়েছিল। পরে বকেয়া বেতন প্রদানের ব্যাপারে মালিক পক্ষের আগামী রবিবার বৈঠকের প্রতিশ্রæতির পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকরা শৃঙ্খলার সাথে স্থান ত্যাগ করে। বন্দর লাইটার হেজ ঠিকাদার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি অমল বাবুর নিকট তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্বতা স্বীকার করেন এবং আগামী রবিবার শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাতে তাদের বকেয়া বিল প্রদানের ব্যপারে বৈঠক করা হবে বলে জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর কোষ্টার হেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জেবল হকের নিকট তার মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্ততা স্বীকার করেন এবং আগামী রবিবার মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক হবে বলে জনান। তিনি বলেন চট্টগ্রাম লাইটার হেজ ঠিকাদার মালিক সমিতির কাছে ২০১৭ইং সাল থেকে এই পর্যন্ত প্রয় দেড় কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে । অথচ আজ শ্রমিকরা কাজ করে বেতন পাচ্ছে না।
ফলে তাদেরকে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। অথচ আমাদের সংগঠন চট্টগ্রাম বন্দরের বৈধ ও নিবন্ধিত সংগঠন। আমাদের পক্ষে মহামান্য হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ও রয়েছে। তার পরও কেন আমাদের বুকিং ও পাওনা টাকা দিতে এত তালবাহানা করা হচ্ছে? কেন আজ আমাদের এত ভোগান্তি? আমি আশা করি মালিক পক্ষ শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশা অনধাবন করে বুকিং ও বকেয়া মজুরি প্রদানের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেক গ্রহণ করবেন।