ভারতীয় রুপির বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে টাকা
ভারতীয় রুপির বিপরীতে ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে টাকার মান। বর্তমানে ১ রুপির বিনিময় হার দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। চলতি বছরের জানুয়ারিতেও এই হার ছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতো টাকার বিপরীতে রুপির দর এত কম দেখা যায়নি। ২০১৬ সালে ভারতে মোদি সরকারের নোট বাতিলের সময়ও রুপির দর ছিল এক টাকা ১৫ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ১ ভারতীয় রুপির দর ছিল এক টাকা ২৮ পয়সা। এরপর থেকে দর সামান্য বাড়া-কমার মধ্যেই ছিল। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটু বেড়ে এক রুপির দর দাঁড়ায় এক টাকা ৩০ পয়সায়। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে দর কমতে থাকে রুপির। যা আজ বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দাঁড়ায় এক টাকা ১৪ পয়সায়।
তবে গতকাল বুধবার ভারতীয় রুপির মান বাংলাদেশি মুদ্রায় রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। ওই দিন বাংলাদেশি ১১২ টাকার বিপরীতে পাওয়া গেছে ভারতীয় ১০০ রুপি। অর্থাৎ, এক রুপির দর নেমে এসেছিল এক টাকা ১২ পয়সায়। বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে রুপির এটি সর্বনিম্ন অবস্থান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকা শক্তিশালী হলে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে তেমন প্রভাব না পড়লেও আমদানিকারকরা সামান্য লাভবান হবেন। এছাড়া ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যাবেন তারাও লাভবান হবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে ভারত থেকে যারা পণ্য আমদানি কর থাকে তাদের কিছুটা সুবিধা হবে। তবে রপ্তানিকারকদের লোকসান হতে পারে।
গত অর্থবছর ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৮শ কোটি ডলারের বেশি পণ্য। বিপরীতে রপ্তানি করা হয়েছে ৩৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের পণ্য। ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে মোট ২০ লাখ বাংলাদেশি ভারত সফর করেছে। যাদের মধ্যে বড় অংশ গেছেন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার ছিলো— ১ মার্কিন ডলার ৮৪ টাকা ৪০ পয়সা, এক ব্রিটিশ পাউন্ড ১১১ টাকা ৭০ পয়সা, এক ইউরো ৯৭ টাকা ৭০ পয়সা ও এক সৌদি রিয়াল ২২ টাকা ২০ পয়সা।