ঝিনাইদহের অসহায় সাথী খাতুন নিকটতম আত্ত্বীদের নির্জাতনের স্বীকার-সুষ্ঠ বিচারের প্রত্যাশায় শিশু কন্যা কে নিয়ে ঘুরেবেড়াচ্ছেন আদালতের দ্বারেদ্বারে।
মোঃমশিয়ার রহমান টিংকু (ঝিনাইদহ প্রতিনিধি)
ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার শাহাপুর ঘি-ঘাটা কামারপাড়ার অসহায় সাথি খাতুন।প্রায়ই তাকে ঝিনাইদহের আদালত প্রাঙ্গণে দিশেহারা হয়ে শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে হতাশ হয়ে ঘুরতে দেখাযায়।এক দিন তিনি ঘটনাক্রমে বিষটি সাংবাদিককে জানান।সে তার অশ্রুকন্ঠে ঘটনার বিবরন তুলেধরেন।সাথী খাতুন বলেন-আমি তখন অনেক ছোট,আমাকে নিয়ে আমার মা-বাবা ভারতে চলেযায়।বাবার মৃত্যুর পর মা মোছাঃবেলেহার খাতুন আমাকে নিয়ে আবার ফিরেআসেন নানা নানীর বাড়ী ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার শাহাপুর ঘি-ঘাটা গ্রামে।
এখানে এসে নানীর জমিতে কোনমতে মাথাগোজার ঠাই হয়।এবং আমাকে তারা মোঃরাজু মিয়া,পিতাঃআবুল হোসেন সাং-ফতেপুর, উপজেলা মির্জাপুর, জেলা টাঙ্গাইল এর সাথে বিবাহ দেয়।আমি বর্তমান বাংলাদেশের নাগরীক।আমার মা নানী বাড়ীর ওয়ারীশের জমি চাইত প্রায়ই।কারন আমার মা বাংলাদেশে না থাকাকালীন নানী তার অন্য সন্তানদের কে কিছু জমি দলিল করে দেন।সেমতে আমার মাকে তার ভাগের জমি লিখেদেয়ার অঙ্গীকার করে নির্দৃষ্ট শর্ত মতে।শর্ত হচ্ছে আমি যদি দেহব্যাবসাকরে তাদের কে উপার্জন করে দেই।
এবিষয়টি শোনামাত্র আমি আর্তনাদ ও প্রতিবাদ করি।কারন- আমার নানী মোছাঃসালেহা খাতুন,খালা মোছাঃবুলবুলি খাতুন- সর্বসাং-শাহপুর ঘি-ঘাটা কামার পাড়া গ্রামে তাদের নীজ বাড়ীতে বিভিন্ন অপকর্মে ও দেহ ব্যাবসায় লিপ্ত হতে দেখি।একপর্যায়ে আমার খালাতো ভাই মোঃআজিম সে তার কিছু চরিত্রহীন বন্ধুদের হাত করে আমার স্বামীকে প্রলোভন দেখিয়ে নেশাগ্রস্ত করে তার মাধ্যমে আমাকে দেহ ব্যাবসায় রাজী করানোর অপচেষ্টা করে।আমি রাজী না হওয়াতে আমার স্বামী প্রায়সই আমাকে মারধর ও নির্জাতন করত।একসময় আমি তাকে তালাকপ্রদান করি।
এরপর থেকে শুরুহয় আমার নিকটতম আত্ত্বীয়-নানী,খালা ও খালাতো ভাইয়ের নির্জাতন।গত-২৩-০৬-২০১৮ইং তারিখ শনিবার রাত আনুঃ১টার সময় আমার খালাতো ভাই আজিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কে নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে।আমাকে ধর্ষণের চেষরটাকরে।আমি চিৎকার দিলে তারা আমার শরীরে ও আমার শিশু কন্যাকে এসিড মেরে ঝলশিয়ে দিয়ে চলেযায়।
আমি এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের নিকট বিচার চাইলে তিনি বিষয়টি গ্রামে মাতবরদের মাধ্যমে আপোষ হতে বলেন।অথচ গ্রামের মাতবর গন কেহই ঔ বিষয়টি আমলে নেয়নি।বাধ্যহয়ে আমি কালিগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে ক্ষমতাসীন আসামীগনের সাথে পুলিশের যোগসাজ থাকার কারনে আমার অভিযোগটি পুলিশ গ্রহন করেন নি।উপরুন্ত আমাকে আদালতে মামলাদিতে বলে।
অতপর আমি আমার ওপর নির্জাতনের বিচার চেয়ে ঝিনাইদহ সিঃজুডিসিয়াল মেজিস্ট্রট আদালতের স্ম্বরনাপন্ন হয়ে ৪৪৭/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ (২) দঃবিঃ ঘটনার বিবরন সহ সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবীকরি।অতপর বিজ্ঞ আদালত মামলার বিষয়টি ঝিনাইদহ পি বি আই অফিসের নিকট তদন্তের ভার প্রদান করেন।অথচ পিবিআই থেকে মামলার তদন্তের রিপোর্ট না প্রেরন করাতে আমি আমার প্রতি নির্জাতনের বিচার পাচ্ছিনা।অপরদিকে আসামী পক্ষ ক্ষমতাসীন ও অর্থসীল হওয়াতে তারা আমার বিরুদ্ধে পাল্টা মিথ্যা মামলা দায়েরকরে পুলিশি হয়রানী দিচ্ছে।আমি আমার শিশুকন্যাকে নিয়ে অসহায় অনাড়ম্ব জীবনযাপন করছি।আমার ও শিশুকন্যার চিকিৎসার খরচ যোগানে ব্যার্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় জীবনযাপন করছি।
এমনি অভিযোগ জানিয়ে প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে বর্তমান সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের এবং আইন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর আসুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।