লালমনিরহাট-২ আসনে প্রচারণায় ব্যস্ত আ’লীগের সিরাজুল হক
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে যে কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক একজন। নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রতি নিয়ত ছুটে চলছে দুই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে। পথসভা, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও গণসংযোগের মাধ্যমে নৌকার পক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য হাট-বাজার সরগরম করে রেখেছেন সিরাজুল হক।
মনোনয়ন প্রত্যাশী সিরাজুল হক ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্যে দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক ও যুগ্ন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বিভিন্ন সময়। দুই বার আদিতমারী উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র ৩ বার পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দায়িত্বে আছেন। তিনি গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে ছিলেন। পরে জেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক এ্যাড. মতিয়ার রহমানকে সমর্থন দিয়ে তিনি তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, সিরাজুল হকের রাজনীতির পাশাপাশি ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। একজন ব্যবসায়ী হয়েও তিনি প্রতিনিয়ত বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। তিনি দুই উপজেলায় তার নেতৃত্বে দলকে সংগঠিত ও গতিশীল করেছেন। এলাকার উন্নয়নে তার ভুমিকা রয়েছে উল্লেখ করার মত। তাছাড়া এবার তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের পছন্দ নতুন নেতৃত্ব। সেই কারণে সিরাজুল হককে লালমনিরহাট-২ আসনে এমপি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান দলীয় নেতা-কর্মীরা।
মনোনয়ন প্রত্যাশী সিরাজুল হক বলেন, কর্মী-সমর্থকরা আমার সাথে আছেন। ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে থেকে কাজ করছি। যে কারণে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসন থেকে আমি মনোনয়নের দাবিদার। মনোনয়ন দেওয়া-না দেওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দায়িত্ব। তিনি আমাকে মনোনয়ন দিলে এ আসনে বিজয় নিশ্চিতসহ উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে পারবো।