ব্রিজ যখন মরণ ফাঁদ ! আতঙ্কে সাধারণ মানুষ, যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা
মোঃ মোছাদ্দেক বিল্লাহ
কাঠলিয়ায় একটি ব্রিজের বেহাল দশার কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। ব্রিজ উপর সিমেন্টের তৈরি পাটা ধ্বসে যাওয়ায় এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ওই ব্রিজটি দিয়ে শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ছোট বড় নানান দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন।
অথচ ব্রিজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মাথা ব্যাথাই নেই।
সীমাহীন এই দূর্ভোগে পড়েছে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ, একটি মাদ্রাসার শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায়, মরন ফাঁদ জেনেও পার হচ্ছে গ্রামবাসী সহ কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা। উপজেলার মুন্সিরাবাদ - আওরাবুনিয়ার রাস্তার আব্দুস ছোমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন (কবুরতলা) খালের উপর এলজিইডির নির্মিত ব্রিজটি দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ব্রিজের দুইপাশ থেকে ভেঙে যাওয়াসহ উপরের সিমেন্টের তৈরি পাটা ধ্বসে যাওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের একমাত্র যানবাহন মোটর বাইক চলাও বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় , ব্রিজটির বেহাল দশা প্রায় ৫ বছর যাবত। একবছর আগে ব্রিজের উপরের পাটা ধ্বসে পরায় স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের তেমন সুফল পরিলক্ষিত না হওয়ায়, স্থানীয় গরীব বৃদ্ধ রহমাত আলী ওরফে রহম আলী তার নিজ অর্থায়নে কাঠ ক্রয় করে সাময়িক ভাবে মেরামত করে দেয়।
তবে প্রতিনিয়ত ব্রিজ দিয়ে মটর বাইক, রিস্কা,ভ্যান, সেই সাথে হাজার হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের কারনে এখন কাঠও ভেঙ্গে গেছে।শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। বর্তমানে ব্রিজটির অবস্থা খুবই করুণ।যে কোনো সময় ভেঙে পরে নানান দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে পথাচারী সহ শিক্ষার্থীরা।
স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীর চলাচলের একমাত্র ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। কয়েকজন অভিভাবক জানিয়েছেন, প্রতিদিন ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয় তাদের। কখন আবার মৃত্যু ফাঁদে পা দিয়ে জীবন হারাতে হয় তাদের সন্তানদের।
ভূক্তভোগী গ্রামবাসী জরুরি ভিত্তিতে মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়া ব্রিজ সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।