‘বিএনপির দেয়া তালিকার অধিকাংশ মামলাই ২০১৪-১৫’র সহিংসতার’
নির্বাচন কমিশনে দেয়া বিএনপির মামলার তালিকার মধ্যে ৩৭২টির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছে কমিশন। এমন তথ্য জানিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, এই মামলার অর্ধেকের বেশি ২০১৪-১৫ সালের সহিংসতার মামলা। বাকি মামলাগুলোর বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন তারা।
ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, যারা মামলার আসামি তাদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। এদিকে, গত বুধবার নয়াপল্টনে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গেলো রোববার নির্বাচন কমিশনের কাছে ২ হাজারের বেশি মামলার তালিকা জমা দেয় বিএনপি। তাদের দাবি এসবই কাল্পনিক কিংবা ভূতুড়ে মামলা। এর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দুই দফা সংলাপেও মামলার তালিকা দিয়েছিল তারা।
পুলিশ কমিশনে জমা দেয়া তালিকার মধ্যে প্রায় ৪শটি মামলার ব্যাপারে চিঠি পেয়েছেন তারা। তবে পুলিশের দাবি কাল্পনিক কিংবা ভূতুড়ে মামলা বলে যে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে তার বেশিরভাগই ২০১৪- ১৫ সালের ৯২ দিনের সহিংসতা, জ্বালাও পোড়াওয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলা। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারাও তালিকাভুক্ত আসামি।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান বলেন, '৩৭২টি মামলার তালিকা আমরা পেয়েছি যে মামলাগুলোর বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি। গায়েবি বা ভুতুড়ে মামলা বলে এগুলোকে অবিহিত করার সুযোগ নেই। অর্ধেকের বেশি মামলা পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি তা ২০১৫ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের সময়কার মামলা।’
নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও সহিংসতার ঘটনায় করা তিনটি মামলার অধিকাংশ আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানান কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান। বলেন এই মামলার গ্রেফতার বিএনিপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায়সহ অনেককে শনাক্ত করেছেন।