নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা প্রয়াত এমপি লিটনের বড় বোন আফরুজা বারী।
গাইবান্ধার পাঁচটি আসনের মধ্যে গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ ছাড়া সবগুলো আসনেই দলের মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। মনোনীত প্রার্থীরা বুধবার (২৮ নভেম্বর) রিটার্নিং অফিসারদের কাছে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছে।
কিন্তু গাইবান্ধা-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন আফরুজা বারী। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক।
আফরুজা বারীর ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।
এরপর ভাইয়ের শূন্য আসন পুরনো রাজনীতির মাঠে নামেন লিটনের বড় বোন শিল্পপতি আফরুজা বারী। ২০১৭ সালের উপনির্বাচনে দলের মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। দল থেকে প্রার্থী করা হয় গোলাম মোস্তফাকে। সেবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে পরাজিত করে এমপি হন গোলাম মোস্তফা।
২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় গোলাম মোস্তফার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেলেও লাঙলের প্রার্থী ব্যারিস্টার পাটোয়ারীর কাছে হেরে যান আফরুজা বারী।
এবারের নির্বাচনে আফরুজা বারী সহ দলের ৫জন আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন চায়। কিন্তু কাউকেই মনোনয়ন দেয়নি দলটি। নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বুধবার তার সমর্থকদের মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন বুধবার দুপুরে মহাজোটের শরীক দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গাইবান্ধা সদর-২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন গিনি।
গাইবান্ধা-৩ পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র জমা দেন বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার। ২০১৪ সালে জাসদ প্রার্থী খাদেমুল ইসলাম খুদিকে পরাজিত করে এমপি হন ডা. ইউনুস আলী সরকার।
গাইবান্ধা -৪ গোবিন্দগঞ্জ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। ২০০৮ এ আওয়ামীলীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের কাছে পরাজিত হন মনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
গাইবান্ধা-৫ সাঘাটা- ফুলছড়ি আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। ফজলে রাব্বী ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির এমপি ছিলেন। পরে ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচন করে লাঙলের প্রার্থী রওশন এরশাদের কাছে পরাজিত হন। এরপর ২০০৮ এ নৌকার বিজয় ছিনিয়ে নেয় রাব্বী। ২০১৪ সালেও তিনি আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত হলে তাকে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার করা হয়।