একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না বিএনপি নেতা আবদুল আওয়াল মিন্টু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও হাবিব উন নবী খান সোহেল।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না বিএনপি নেতা আবদুল আওয়াল মিন্টু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও হাবিব উন নবী খান সোহেল।
বুধবার শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী এখন পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেননি বিএনপির এই তিন নেতা।
এই তিন নেতার নির্বাচন না করার বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছে বিএনপির একাধিক সূত্র।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি নেতা ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এ বিষয়ে তিনি যুগান্তরকে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রাহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না সে জন্যই আমি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল ঢাকা-৮ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু ঢাকা-৯ আসন থেকে তাকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি।
এ বিষয়ে হাবিব-উন নবী খান সোহেলের মেয়ে জান্নাতুল ইলমি সূচনা যুগান্তরকে জানান, আমার বাবা ঢাকা-৮ আসন চেয়েছিলেন কিন্তু দল তাকে ঢাকা -৯ আসনের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন। এ কারণে আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমার বাবা নবম সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ থেকে নির্বাচন করেছিলেন। এ আসনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষরা চায় আমার বাবা ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচন করুক।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান গোলচত্বর থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন।
এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির বলেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনী-৩ আসনে নিজে এবং ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কেনেন।
তিনি বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল চেয়েছিলেন বরিশাল-২ আসন। ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থিতা চেয়েছিলেন হাবিবুন নবী খান সোহেল। তিনজনের কেউই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।