রাজধানীতে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ফুলমেলা শুরু
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ফুল প্রদর্শনী। বাংলাদেশ সহ নেপাল, ভারত, থাইল্যান্ডের মোট ৭০টি স্টল নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রদর্শনী। একই ছাদের নিচে পছন্দের রঙ আর গন্ধের ফুল পেয়ে খুশি দর্শনার্থীরা। তবে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের বাজার সম্প্রসারণে সরকারি সহায়তা চান ফুল চাষিরা। মেলার উদ্বোধন করে শিগগিরই নীতিমালা বাস্তবায়নের আশ্বাস কৃষি সচিবের।
বলা হয় স্নিগ্ধতা, পবিত্রতা আর সৌন্দর্যের প্রতীক ফুল। এর পাঁপড়ির বিন্যাস, রঙের বৈচিত্র্যতা আর গন্ধের মাধুর্যে স্বর্গীয় আনন্দে বুদ হয়ে থাকে প্রতিটি হৃদয়। তাইতো নাগরিক ব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে ফুল প্রেমিকদের ক্ষনিকের স্বস্তি দেয় রাজধানীতে প্রথমবারের মতো তিনদিনের আন্তর্জাতিক ফুল প্রদর্শনী। তারুণ্যের উচ্ছলতাও যেন ধরা দেয় ভাললাগা ভালবাসার ফ্রেমে।
ফুল এখন সৌন্দর্য আর সৌখিনতার সামগ্রীই নয়, বরং জাতীয় অর্থনীতি এবং বৈদেশিক বাণিজ্যেও রাখছে গুরত্বপূর্ণ অবদান। তবে এর উৎপাদন থেকে শুরু করে প্যাকেজিং পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ। চাষিদের কন্ঠে উঠে আসে ফুল সংরক্ষণ এবং স্থায়ী পাইকারি বাজারের অপূর্ণতার কথা।
এর আগে মেলার উদ্বোধন করেন কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান। রফতানি বাড়াতে শিগগিরই নীতি সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ফুল নিয়ে আমাদের মার্কেটিং বিভাগ কাজ করছে। এবং রপ্তানি নিয়েও বিভাগ কাজ করছে।
ফুলের মোট বিশ্ব বাজার ৪৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে বাংলাদেশ রফতানি করে মাত্র ৮৬ হাজার মার্কিন ডলার।