রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি’‘আইএসআই-তারেক সংযোগ,
গত কয়েকদিন ধরেই বার বার আলোচনায় উঠে আসছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার কথা। তারই সূত্র ধরে লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আইএসআই-এর নিবিড় যোগাযোগের বিষয়টিও বেরিয়ে এসেছে।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ৪ জুলাই সৌদি আরবের জেদ্দায় আইএসআই এর শীর্ষ দুই কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন তারেক রহমান। বিএনপির সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখার সভাপতি জাকির হোসেন এ বৈঠকে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেন। তার মাধ্যমেই তারেকের কাছে ৩০০ আসনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর তালিকা পাঠায় আইএসআই।
খন্দকার মোশাররফের সঙ্গে ফোনে কথা বলা এজেন্ট মেহমুদের সঙ্গে জাকির হোসেনের নিয়মিত যোগাযোগের তথ্যও অনুসন্ধানে ওঠে আসে। গত ৬ মাসে দুবাইয়ে মেহমুদের সঙ্গে জাকির হোসেনের কমপক্ষে ১১ বার দেখা হয়।
আইএসআই-এর সঙ্গে তারেকের নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নির্বাচন করে দিচ্ছে আইএসআই গোয়েন্দা সংস্থা, এটি বাংলাদেশের জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। আইএসআই এই দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে উন্নয়নকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে, বলেন বিশ্লেষকরা।
এই অবস্থায় ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ তাদের। তারা বলেন, তারেকের সম্পৃক্ততার প্রমাণ যদি যুক্তরাজ্যকে দেয়া যায়, তবে তারেককে দেশে ফিরিয়ে দেয়ার আবেদনও করা যেতে পারে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশের জন্য বিএনপির শিরোনাম হওয়া এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ সালে পাকিস্তানের আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সাবেক আইএসআই প্রধান আসাদ দুররানি স্বীকার করেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনেও বিএনপির জন্য তহবিল জোগাড় করেছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।