ভোটের ফলাফলে দল হিসেবে এককভাবে ইতিহাস গড়েছে আওয়ামী লীগ।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া চারটার দিকে নির্বাচন কমিশন ২৯৮ আসনের ফলাফল ঘোষণা করে।
তে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের ২৫৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। তবে বড় দল হলেও সুবিধা করতে পারেনি বিএনপি। তাদের মাত্র ৫ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সে তুলনায় ভালো করেছে জাতীয় পার্টি। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তারা জিতেছে ২০টি আসনে।
তবে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য শরিকদের মিলিয়ে মহাজোট জয় পেয়েছে ২৮৭টি আসনে।
এদিকে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হওয়ার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেনি ইসি।
কোন দল কত আসন পেলো:
দল আসন
আওয়ামীলীগ ২৫৯টি
জাতীয় পার্টি ২০টি
বিএনপি ৫টি
গণফোরাম ২টি
বিকল্পধারা ২টি
জাসদ ২টি
জেপি (মঞ্জু) ১টি
ওয়ার্কস পার্টি ৩টি
স্বতন্ত্র ৩টি
তরিকত ফেডারেশন ১টি
মহাজোট ২৮৭টি
ঐক্যফ্রন্ট ৭টি
এদিকে ২৯৯টি আসনের ৪০ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে স্থগিত হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোট স্থগিতের কারণে কেবল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হয়নি। বাকি স্থগিত কেন্দ্রের কারণে কোনও আসনেরই ফলাফল প্রকাশে বাধা হয়নি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ফলাফল ঘোষণাকালে বলেছেন, ‘কিছু আসনে একটি/দুইটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হলেও বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান বেশি থাকায় ফল প্রকাশে কোনও বাধা হচ্ছে না। ফলে এসব স্থগিত কেন্দ্রে পুনঃভোটের প্রয়োজন হবে না। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত ও তার নিকটতম প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান স্থগিত কেন্দ্রের থেকে কম হওয়ায় এ আসনের স্থগিত কেন্দ্রের পুনঃভোটের প্রয়োজন হবে। এ কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূইয়া ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঈনউদ্দিন মঈন কলারছড়া প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট। এ দুই জনের ভোটের ব্যবধান হচ্ছে ১০ হাজার ১৫৯টি। অপরদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ১৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত ৩ কেন্দ্রে মোট ভোট ১০ হাজার ৫৭৪টি।
এছাড়া গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুর) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন আগেই স্থগিত করা হয়। পুনঃতফসিল ঘোষণা করে এ নির্বাচনের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হবে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।