নির্বাচনে হেরে গিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও নোয়াখালী-০২ আসনের বিএনপির প্রার্থী জয়নুল আবেদীন ফারুক এবং বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-০১ আসনের বিএনপির দলীয় প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের মধ্যকার ফাঁসকৃত ফোনালাপে এমন চক্রান্তের তথ্য পাওয়া যায়।
বিএনপির এ দুই নেতার ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি হুবহু তুলে দেয়া হলো:
জয়নাল আবেদিন ফারুক: ভাইজান, মামলা যে এতগুলো হইল, কি করব?
মাহবুব উদ্দিন খোকন: মহাসচিবের সাথে কথা বলেন। সবাই স্বেচ্ছায় কারাবরণ করেন। সব মামলায় স্যারেন্ডার করেন লয়ার কোর্টে।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: ৩০০ এমপি?
মাহবুব উদ্দিন খোকন: না না সব, যাদের মামলা হইছে, সব মামলায় লোকালি স্যারেন্ডার করা।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: আচ্ছা, তারপর।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: তারপর লোকদের ঢুকাক সব। কত লোক ঢুকাইব। সব মিথ্যা মামলায় স্বেচ্ছায় কারাবরণ।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: আমরা স্যারেন্ডার কইরা ফেলাই নাকি?
মাহবুব উদ্দিন খোকন: এইটা পার্টির সিদ্ধান্ত, উপর থেকে সিদ্ধান্ত করান।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: নির্বাচন উপলক্ষে এই পর্যন্ত যত মিথ্যা মামলা হইছে, অসত্য, মিথ্যা মামলা হইছে; এক সাথে স্যারেন্ডার কইরা ফেলাই।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: এক এক উপজেলায় ৫,০০০ লোক ঢুকবো, ঠিক আছে।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: ৫,০০০ এর বেশি আছে।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: আমার এলাকায় ২,০০০-২,৫০০ কি আছে, মনে করেন।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: আমার আছে প্রায় ১,৭০০।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: সব জায়গায়। নোয়াখালীতে ১০,০০০ হইব মনে হয়।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: না না। ১০,০০০ লোক জায়গা হবে না। ভালো হবে এইটা, তাঁবু টাঙ্গাইয়া দিবে।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: যত মিথ্যা মামলা হইছে, স্বেচ্ছায় কারাবরণ হইলে ওটাই একটা প্রোগ্রাম হইয়া যাইব।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: ইয়েস, ইয়েস, ইয়েস। ভেরি গুড।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: আমরা একটা কইরা জামিন নিব। জজকোর্ট, হাইকোর্ট সবাই আমাদের নিয়া ব্যস্ত থাকব।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: আরও আরও। আমাদের অর্থনীতি আরও শেষ হয়ে যাবে।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: অর্থনীতি শেষ হলে। মানুষ হয়রানি হইব।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: আচ্ছা, আচ্ছা।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: কথা বলেন, কথা বলেন।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: আমি জানাচ্ছি এখনই।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: আর স্বেচ্ছায় যত মিথ্যা মামলা হয়েছে, সব মিথ্যা মামলায় আমরা স্বেচ্ছায় জেলে ঢুকি।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: তুমি ঢাকায় একটু আসো না।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: ঢাকায় চলে আসছি আমি।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: ওদের বিকাল ৪টায় স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিং আছে। আমরা এটা বলে দিই।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: একদিনে ৫ হাজার লোক স্যারেন্ডার নিতে পারবে ওরা।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: তুমি ৪টায় গুলশানে আসো। আমরা কথা বলি। আমার মনে হয় এই আইডিয়াটা ভালো। আমি এই আইডিয়াটা সবাইকে জানাচ্ছি। সবাই মির্জা আলমগীরকে (বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর) ফোন দিক।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: এক জেলে যদি ৫,০০০ লোকেরে ঢুকায়, ঢুকাবে না শালারপুতেরা, কী করবি, এটা একটা প্রতিবাদ। কত হাজার মামলা হইছে, মানুষ দেখুক, জাতি দেখবে।
জয়নাল আবেদিন ফারুক: ৪টার সময় গুলশানে আসো।
মাহবুব উদ্দিন খোকন: এইটা বলেন, ভাই।