পকেট ভারী নওগাঁয় চাল ব্যবয়ায়ীদের ঠকছে কৃষক
গত এক সপ্তাহে নওগাঁর চালের আড়তগুলোতে প্রকার ভেদে মণে ১শ’ থেকে দেড়শো টাকা চালের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে চালের দাম বাড়ানোকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি মনে করছে বিশিষ্টজনরা। আর জেলা প্রশাসন বলছে, চালের দাম বাড়ানো যৌক্তিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৌসুমের শুরুতে নওগাঁর হাটগুলোতে ব্যবসায়ীরা ধান কিনেছে সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা মণ দরে। সরকারের সহজ শর্তে বিপুল পরিমাণ ঋণের টাকায় শত শত মণ ধান কিনে গুদামজাত করে এখানকার ব্যবসায়ীরা। কৃষক ধার দেনার মাধ্যমে কঠোর পরিশ্রম করে উৎপাদিত ধান হাটে নিয়ে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় আয় ব্যয়ের হিসাব মেলাতে কপালের ভাজ বড় হয়ে উঠে। তার ওপর আবার হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধির এমন খবর এসব কৃষককে আরো বেশি চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
কৃষকের অভিযোগ, তাদের গোলা থেকে ৮০ ভাগ ধান ব্যবসায়ীরা স্বল্প মূল্য কিনে এখন ইচ্ছে মতো বাড়িয়েছে চালের দাম। এতে ব্যবসায়ীর পকেট ভারী হলেও কৃষকের অবস্থা দিনে দিনে আরো নাজুক হয়ে পড়ছে। কৃষকরা বলেন আমরা লাভ পাই না। ধারদেনা করে ফসল ফলানোর পর হাটে নিয়ে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখন সে ধান মিলাররা বেশি দামে বিক্রি করছে। আমাদের কাছে আর ধান নাই।
সরকারের নানা সুযোগ সুবিধা নিয়ে ছোট বড় ১ হাজার চাতাল ও রাইস মিলে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার কারবার করে ব্যবসায়ীরা। মৌসুম এলে এসব ব্যবসায়ী এক জোট হয়ে কৃষককে ঠকিয়ে নিজেদের মুনাফার পাহাড় গড়ে তোলা মুল কাজ বলে দাবী বিশিষ্ট জনদের ।
নওগাঁ সিপিবির সভাপতি এডভোকেট মহসীন আলী বলেন, ‘মিলাররা বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ নিয়ে অল্প দামে ধান কিনে তারা গুদামজাত করে রেখেছিল।