খুলনা বিভাগের সব থেকে বড় মসজিদ তৈরি হচ্ছে যশোরের কারবালাতে
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি
খুলনা বিভাগের সব থেকে বড় এবং নান্দনিক মসজিদের কাজ এগিয়ে চলছে যশোরের কারবালাতে।
ইতিমধ্যে মসজিদের প্রথম ফ্লোরের ঢালায় সম্পন্ন হয়েছে। সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটি প্রাথমিকভাবে পাঁচতলা বিশিষ্ট হবে। থাকবে বেজমেন্ট। সেখানে পার্কিং করা যাবে ৫০টি গাড়ি। গোটা মসজিদ হবে কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
মসজিদের প্রতিটি ফ্লোর হবে ১৭ হাজার এস এফটি, যার প্রতি ফ্লোরে ১ হাজার ৬শ ৫০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। সব মিলিয়ে ৮ হাজার ২শ ৫০ জন মুসল্লি একযোগে নামাজ আদায় করতে পারবেন কারবালা মসজিদে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে মসজিদে থাকবে দুটি লিফট। মসজিদটির প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ১৮ কোটি টাকা।
নির্মাণ কমিটির অন্যতম সদস্য প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন জানান, ঢাকার একটি ফার্ম নির্মিতব্য মসজিদের ডিজাইন করেছে। ইসলামি স্থাপত্যরীতি অনুযায়ী ডিজাইনটি করা হয়েছে মসজিদটির। এটি নয়নাভিরাম হবে বলে সবাই আশা করি।
মসজিদসংলগ্ন স্থানে ফোয়ারা ছাড়াও থাকবে ফুলবাগান।’ তিনি বলেন আমরা ইতমধ্যে ১ তলার কাজ সম্পন্ন করেছে খুব দ্রুতোই সমগ্র কাজ সম্পন্ন হবে।
যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দেীলা বলেন, কারবালা মসজিদটি হবে খুলনা বিভাগের সব থেকে বড় এবং নান্দনিক মসজিদ। এটি যশোরের সম্পদ হবে, তিনি বলেন এই সম্পদ নির্মানে আমাদের সকলের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ।
কারবালা এতিম খানার সাধারণ সম্পাদক ও মসজিদ কমিটির সদস্য সোাহেল আল মামুন নিশাদ বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক মসজিদ নির্মানের কাজের সাথে সম্পৃক্ত আছি। তিনি বলেন কাজ চলছে, খুব তাড়াতাড়িই পুরো কাজ শেষ করে মুসাল্লিদেও জন্য খুলে দেওয়া হবে।
কারবালা মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহামুদুর রহমান বলেন, মসজিদের প্রথম তালার ছাদ হয়ে গেছে। এর মধ্যেই রড এবং পাথরের দোকানে অনেক টাকা বাকি হয়ে গেছে। তিনি বলেন আপনাদের দানেই এই মসজিদ নির্মান হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মসজিদে দান করা মানে আল্লাহর ব্যাংকে জমা রাখা। তাই তিনে মসজিদ নির্মানে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য যশোরের প্রধান কবরস্থান শহরের পশ্চিম প্রান্তে কারবালায় অবস্থিত। কারবালাকে ঘিরে এ শহরের মানুষের মধ্যে রয়েছে তীব্র আবেগ। কারণ প্রায় প্রত্যেক পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য এ কবরস্থানে শায়িত আছেন।
প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদটিতে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। নামাজ আদায়ের পর অধিকাংশ মুসল্লি কারবালায় তাদের স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন। এ কবরস্থানেই রয়েছে হজরত বোরহান শাহের (র.) মাজার, যিনি বিখ্যাত সুফি সাধক হজরত খানজাহান আলীর (র.) সঙ্গে সুন্দরবনের দিকে আসার পথে যশোরে থেকে যান। অনেক মানুষ এখনো বোরহান শাহর মাজার জিয়ারত করেন নিয়মিত। বিশেষ করে শবেবরাত, শবেকদর, আশুরার রাতে এ মাজার ও কবরস্থানে মানুষের ঢল নামে।