ফারমার্স ব্যাংক যাত্রা শুরু করেছে নতুন নামে পদ্মা নামে তিক্ত অতীত ভুলে ঘুরে দাঁড়াতেই নতুন নাম
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে সার্বিকভাবে ব্যাংকের আর্থিক হিসাবে ইতিবাচক ফল আসতে হবে।
২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া ফারমার্স ব্যাংক পরিচালনা শুরুর তিন-চার বছরের মাথায় নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতিতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দেয়ার সক্ষমতা হারায়। ব্যর্থতা ও অনিয়মে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশে একে একে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাও।
এ ব্যাংক ঘিরে আর্থিকখাতের সংকট সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপে মূলধন যোগান দিয়ে গতবছর ৬৮ শতাংশের মালিকানায় আসে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠান জনতা, সোনালী, রুপালী, অগ্রণী ব্যাংক ও আইসিবি। এছাড়া বাকি অংশের মালিকানায় আছে আরো ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মালিকানা,পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের পর সম্প্রতি ব্যাংকটি পদ্মা নামে যাত্রা শুরু করেছে।
পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. এহসান খসরু বলেন, আমাদের ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। অতীতে যেসব সমস্যা ছিল সেগুলো এড়িয়ে যেতে চায় নতুন ম্যানেজমেন্ট।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস উল আলম বলেন, আমরা তাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। তারা সেগুলো মানছে এবং মনে হয় জনগণের আস্তা ক্রমান্বয়ে ফিরে আসছে।
ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে জোরে শোরে শুরু হয়েছে দাপ্তরিক স্ট্যাম্প, সিল, প্যাডসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর নাম বদলের কার্যক্রম। জনবল নিয়োগেও কাজ শুরু করেছে সারাদেশে ৫৭ টি শাখায় বিস্তৃত ব্যাংকটি। মালিকানায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান যুক্ত হওয়ায় ব্যাংকটির প্রতি মানুষের আস্থা ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।
অর্থনীতিবিদ ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ব্যাংকের যেসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেগুলো নিয়ে একটি ইতিবাচক উত্তর দেয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত। এতে করে ধীরে ধীরে তারা নাম পরিবর্তনসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত আরোপের মাধ্যমে একটা জায়গায় যেতে পারে।
দেড় লাখ গ্রাহক নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের আমানতসহ মোট দায় প্রায় ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা।