নুসরাত জাহান রাফি হত্যার দায়ী পুলিশদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট
নুসরাত জাহান রাফি হত্যার পর কেটেছে এক সপ্তাহের বেশি সময়। এই মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ১১ জন। এর মধ্যে গ্রেফতার কামরুন্নাহার মনিকে বুধবার ৫ দিনের রিমাণ্ডে দিয়েছেন আদালত। মাদ্রাসার ছাদে নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলো বোরকা পরা যে পাঁচজন- তাদের অন্যতম কামরুন্নাহার মনি। হামলাকারীদের জন্য বোরকা আনার দায়িত্বও ছিলো তার। এদিকে এই ঘটনায় শরীফ নামে আরো এক পরিকল্পনাকারী গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনার দিন নুর উদ্দিনের সঙ্গে মাদ্রাসার গেট পাহারায় ছিলো শরীফ। এদিকে নুসরাত হত্যার ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের গাফিলতির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ সদর দফতর গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা যেটা পাব, সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠভাবে সব কিছু মিলিয়েই আমরা প্রতিবেদন দেব।
পিবিআই-এর ডিআইজি বনজ কুমার বলেন, যে যতই রাজনীতি করুক, যে যতই ক্ষমতাবান হোক, আমরা এই বিষয়টি আমলে নেব না।
নুসরাতের ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট হয়েছে উচ্চ আদালতে। দু-একদিনের মধ্যে এ রিটের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আমি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে আবেদন করেছি।'
এদিকে নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে বুধবারও মানববন্ধন হয়েছে। সোনাগাজী বাজারের জিরো পয়েন্টে উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে এই মানববন্ধনে নুসরাত হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। সকল প্রভাবের উর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত মামলার অভিযোগপত্র দেয়ারও দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।