রাজধানীর বেদখল খাল উদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে চায় বিআইডব্লিউটিএ।
ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশনের তুলনায় জনবল, অভিজ্ঞতা এবং যন্ত্রপাতির সক্ষমতা বিবেচনায় এ উদ্যোগ নিতে চায় তারা। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা ওয়াসার মন্তব্য, সাময়িকভাবে নয়, পূর্ণ দায়িত্ব নিতে চাইলে আপত্তি নেই।
কয়েক দশক আগেও রাজধানীর বুক চিরে বয়ে যাওয়া ৬৫ টি খাল দখল-দূষণে হারিয়ে গিয়ে ২৬টিতে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে এগুলোর বেশিরভাগই স্যুয়ারেজ লাইন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কোথাও বা অস্তিত্ব একেবারেই হারিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, খাল থেকে কঠিন বর্জ্য না তুলে কেবল ভাসমান আবর্জনা তোলার কারণে নাব্য থাকে না। দখলমুক্ত করার নামে সাময়িক উচ্ছেদেও মেলে না সুফল। বিআইডব্লিউটিএর দাবি, উচ্ছেদ করে পাড় বাঁধাই করলে স্থায়ী রূপ পেতে পারে খালগুলো।
ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দীন বলেন, উদ্ধারের অনেক কথা বলা হয়। কিন্তু কার্যকরী উদ্যোগটা নেয়া হচ্ছে না। ঢাকার চার পাশে যে নদীগুলো বিআইডব্লিটিএর নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এই নদীগুলোর সাথেই যেহেতু খালগুলো শহরের ভিতরে সংযোগ সৃষ্ট করছে। যানজটমুক্ত পরিবেশ সম্মত একটি শহর উপহার দেয়া সম্ভব যদি খালগুলো উদ্ধার করা যায়।
বিআইডব্লিউটিএ মনে করে-আইনি জটিলতা, মালিকানা দ্বন্দ্বসহ অন্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বিশেষ উদ্যোগ না নিলে সময়ক্ষেপণ হবে।