বোমা বহন করছেন গাইবান্ধায় হাজারো সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলার বাহন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার সাত উপজেলায় সহজ যোগাযোগের মাধ্যম সিএনজি চালিত থ্রিহুইলার পরিবহন চালানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাস। এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার চালকের আসনের নিচে বা যাত্রীদের আসনের পেছনে বসানো হচ্ছে। যে সব সিলিন্ডারের বেশীর ভাগই মেয়াদ উর্ত্তিন গাইবান্ধা জেলা জুড়ে বড় বড় সড়ক গুলোতে চলছে সংস্কার কাজ রাস্তা গুলো এখন খরাখন্দা এতে যেকোনো সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম সরকার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার নয়, যেন একেকটা বোমা নিয়ে ঘুরছে এই সব বাহন গুলো। কখন বিস্ফোরিত হবে তার কোন ঠিক নেই।
গাইবান্ধা বিআরটি এর মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, চালকরা এলপি গ্যাস সিলিন্ডার কোনভাবেই ব্যবহার করতে পারবে না এসব বাহনে । ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জরিমানাও করা হয়। তারপরও তারা এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার বন্ধ করছে না। তবে চালকরা ঝুঁকি নিয়ে চলছে নিত্যদিন।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, সিএনজি চালিত পরিবহন গুলোতে এলপি গ্যাস ব্যবহারের সমস্যাটা অনেকদিন থেকে চলে আসছে। এই সমস্যা সমাধান আমার একার বিষয় না। সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এলপি গ্যাসের ব্যবহারের বিষয়টি আমলে নেয়া হল। এ বিষয়ে সবার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে প্রশাসকের পক্ষ থেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন জেলার প্রায় ২৫ টি রুটে হাজারো এই সিএনজি গুলো চলাচল করে। এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০-৩৫ হাজার মানুষ চলাচল করে এসব পরিবহনে । এসব বাহনে জ্বালানি হিসেবে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ব্যবহার করার কথা। চালকদের গাইবান্ধা সাত উপজেলা থেকে ৩৫-৭৫ কিলোমিটার দূর থেকে পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়ার মাট ডালি মোড় এলাকার ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস আনতে হয়। কিন্তু সেখান থেকে গ্যাস আনতে গিয়ে তাঁদের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে চাঁদাবাজি, ফিলিং স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে থেকে সময় নষ্ট হওয়ার বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য। এ কারণে প্রায় ৯৫ শতাংশ সিএনজি চালক চড়া দামে কিনতে হলেও এলপি গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।