বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল শপথ নিচ্ছেন নাকি নিচ্ছেন না তা এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেলো।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল শপথ নিচ্ছেন নাকি নিচ্ছেন না তা এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেলো। সময় চেয়ে চিঠি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেই এখনও শপথ নেয়া থেকে বিরত আছেন তিনি। তবে শপথ নেয়ার জন্য সময় চেয়ে স্পিকারের কাছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিঠি দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ইতোমধ্যে খবর এসেছে।
বারবার দলের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হলেও শেষ মুহূর্তে চমক দেখিয়ে শপথ নেন বিএনপির নির্বাচিত চার সদস্য। এর পর থেকেই শপথ নেয়ায় দলটির অবস্থান নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন আলোচনা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নেয়া প্রসঙ্গে জল ঘোলা হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে, তৈরি হয়েছিলো ধোঁয়াশা। দলটির মহাসচিব বাদে বাকি ৫জনই নিয়েছেন শপথ।
গত ২৭শে এপ্রিল শনিবার ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান জাহিদ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেয়ায় বহিষ্কার করে বিএনপি। তাকে ঘোষণা করা হয় জাতীয় বেঈমান হিসেব।
এর দুদিন পরই দলের নির্বাচিত অন্য ৪ জনের শপথ নেয়ার কিছুক্ষণ পরই সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল দাবি করেন দলের সিদ্ধান্তেই এই শপথ। তবে তিনি কবে শপথ নেবেন সে বিষয়ে তখন কিছু পরিষ্কার করেননি বিএনপি মহাসচিব।
এদিকে মির্জা ফখরুল শপথ নেয়ার জন্য স্পীকারের কাছে সময় চেয়েছেন, এমন তথ্য উঠে আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
এ বিষয়টিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেন মির্জা ফখরুল। জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে আরো বলেন, কৌশলের কারণেই শপথ না নেয়া দলীয় সিদ্ধান্তেই হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি শপথের জন্য সময় চাইনি, আমি কোন চিঠিও দেইনি, এটা মিথ্যা কথা। আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আপনাদের দলের সিদ্ধান্তে আপনি কেনো শপথ নেননি। আমি বলবো এটাও দলের একটা কৌশল।
বারবার বিপক্ষে থেকেও কেন শপথ নেয়ার পক্ষে অবস্থান নিলো দলটি সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল আরো বলেন, এই সিদ্ধান্ত একটা চমকের মতো সংবাদ। আমাদের এই সিদ্ধান্তে আমাদের যে ন্যূনতম সুযোগ রয়েছে তার ব্যবহার করতে পারবো।
হঠাৎ কেন এই শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত এবং মির্জা ফখরুলের এখনও শপথ না নেয়া দুটোই ভাবিয়ে তুলেছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনীতিবিদদেরও।