শনিবার (৪ মে) সকালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়ফণী
তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ফণী। সন্ধ্যার পর গতিপথ পাল্টালে শনিবার (৪ মে) সকালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এ অবস্থায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
২৪ এপ্রিল সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ফণীতে রূপ নেয় ২৭ এপ্রিল। শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গতিপথ পাল্টালে ভারতের উড়িষ্যা হয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসতে পারে ফণী। তবে এটি যে কোনো সময় যে কোনো দিকে বাঁক নিতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ৬ ঘণ্টায় এর গতিপথের পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা ৬০ শতাংশ। যদি পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে এলে ক্ষতি তুলনামূলক কম হবে, প্রাণহানি কম হবে, গাছপালা কম পড়বে, বৃষ্টি বেশি হবে। আর সরাসরি আসলে উচ্চগতি সম্পন্ন বাতাস আসবে, তার সঙ্গে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা থাকবে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া 'ফণী' বর্তমানে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এর আগে বুধবার (১ মে) ভোরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১২৭৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১২২৫ এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। যা ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝড়ো হওয়া আকারে ১৮০ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।