এরশাদের সিদ্ধান্ত না মানলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে ''
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর রোববার (০৫ মে) সকালে রাজধানীর বনানীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন তিনি।
তার নতুন দায়িত্বে কয়েকজনের অসন্তুষ্ট হওয়া স্বাভাবিক বলেও মন্তব্য করেন নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান। জি এম কাদের জানান, চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শারীরিকভাবে সুস্থ নয় বলে পার্টির দৈনন্দিন কাজ-কর্ম সচল রাখতে তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে দলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নেতাদের অন্ধকারে রেখে এরশাদের এমন সিদ্ধান্তকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না অনেকে।
দলের ভবিষ্যৎ উত্তরসূরী ঘোষণা,পরে হঠাৎ করে কো চেয়ারম্যান ও সংসদ উপনেতা পদ থেকে অব্যাহতি। পরবর্তীতে আবারো কো-চেয়ারম্যান পদ ফিরিয়ে দেয়া, গত ৫ মাস ধরে নিজের ছোট ভাই জিএম কাদেরকে নিয়ে নাটকীয় ও পরস্পরবিরোধী এমন সব সিদ্ধান্তের মধ্যেই শনিবার (০৪ মে) রাতে নতুন চমক দেন এইচ এম এরশাদ। জিএম কাদেরকে ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নিজের অবর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে।
রোববার (০৫ মে) সকালে রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন জাতীয় পার্টির নতুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। জানান, শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকায় পার্টিকে গতিশীল রাখতেই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এরশাদ।
এরশাদের নতুন সিদ্ধান্ত যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্য নেতাদের অন্ধকারে রেখে এরশাদের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়টি হালকাভাবেই নিচ্ছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফিরোজ রশীদ।
ফিরোজ রশীদ বলেন, এরশাদ এখন থেকেই নয়, তিনি সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন অবস্থায় যখন দল গড়লেন, তখন থেকেই তার নিজস্ব সিদ্ধান্তেই দল চলছে। অতএব অন্য দলের সাথে আমাদের দলের তুলনা করলে হবে না। এই জন্যই আমি মাথা ঘামাই না, কারণ এরশাদ স্যার যে সিদ্ধান্ত দিবেন, আমি সেই সিদ্ধান্তই মেনে নিবো।
এই অবস্থায় দলকে ঢেলে সাজানোই হবে নতুন নেতৃত্বের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এমনটাই মনে করছেন শীর্ষ নেতারা।