একটু একটু করে জমতে শুরু করেছে অভিজাতদের ঈদ কেনাকাটা
অভিজাত শপিং সেন্টারগুলো বলছে, সব শ্রেণির ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে তাদের উৎসবের সংগ্রহ।
আয়নায় আরেকবার দেখে নেয়া, নিজের সঙ্গে কতটা মানানসই হলো পছন্দের শাড়িটি।
রাজধানী ঘুরে দেখা গেল রুচির পরিবর্তনকে মাথায় রেখে সাজানো হয়েছে অভিজাত ফ্যাশন হাউসগুলো। এই যেমন, সীমার কাপড়ে জারদুসি কাজ করা গাউন বা একই উপরকণে রঙিন করা লেহাঙ্গা। এবারের ঈদ বাজারে ব্যয়বহুল নকশাদার এসব পোশাকের দাম শুরু লাখ টাকার ওপরে। আবার একই শো-রুমে পাওয়া যাবে তিন হাজার টাকার মধ্যেই উৎসবের রঙে রাঙানো শাড়ি-পাঞ্জাবি-থ্রি পিস।
নগরীর বিভিন্ন শো-রুম ঘুরে ক্রেতারা কিনছেন তাদের উৎসবের অন্যতম অনুসঙ্গ বাহারি পোশাক। আর শাড়িকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটায়।
এক ক্রেতা বলেন, কেনা-কাটা করতে ভালোই লাগে। কিংবা কাউকে উপহার দিতে ভালো লাগে।
আরেক ক্রেতা বলেন, তারা হুড়ো করে দেখলে তেমন একটা ভালো হয় না। এবার ঈদে শাড়িকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। এখন এটা কিনেছি।
ডিজাইনরা বলছেন, অভিজাতদের কেনাকাটায় দাম তেমন কোন ব্যাপার না, তবে আরামদায়ক আর পছন্দসই হতে হবে উৎসবের পোশাক।
প্রেম'স কালেকশরেন ফ্যাশন ডিজাইনার অনুরাধা বলেন, এখানের পোশাকগুলো নিখুঁত কাজ করা, এবং খুবই ভালো চলতেছে। আশা করছি অনেক ভালো চলবে।
নাবিলার প্রধান ডিজাইনার বলেন, এখন তো অনেক রকম ট্রেন্ড আছে, গাউন, কামিজ সবই একরকম। তারপর এর মধ্যে ফেব্রিকের পরিবর্তন এসেছে। আমাদের টার্গেট থাকে যে ক্রেতা লাখ টাকা দিয়ে এই পোশাক কিনছে, সে জেনো উপহারের জন্য এইরকম ভাবে কিনতে পারে।
ভাসাভি ডিপার্টমেন্ট ইনচার্জ মো.জুয়েল বলেন, শাড়ি কিডস এইগুলো নিউ কালেকশন আমাদের ।
অনেকেই কিনছেন থ্রি-পিস। যা আবার যাবে দর্জিবাড়ি। যেখানে সরবরাহ করা ডিজাইনে সঙ্গে মিশবে নিজের পছন্দ। আর এভাবেই তৈরি হবে সবার থেকে একটু আলাদা পোশাক।
নগরীর নামিদামি শো-রুমগুলোতে পোশাকের পাশাপাশি ৩ হাজার টাকার মধ্যেই মিলছে মেয়েদের জুতা-স্যান্ডেল।