মালয়েশিয়ায় কর্মী পুনঃস্থাপনে বাতিল করা পুরনো প্রক্রিয়া আবার কার্যকর।
মোহাম্মদ আল-আমীন (মালয়েশিয়া থেকে)
মালয়েশিয়ায় কর্মী পুনঃস্থাপনে আগের বাতিল করা পুরনো প্রক্রিয়া আবার কার্যকর হচ্ছে।আগামী ১ জুলাই থেকে বিদেশি কর্মীদের পুনঃস্থাপন প্রক্রিয়া চালু করার নোটিশ জারি করেছে মালয়েশিয়া সরকার। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানি থেকে কোনো কর্মী নিজ দেশে চলে গেলে তার স্থলে কর্মী নিয়োগ করা যাবে। পুরনো কর্মীরা আগের মালিকের কোম্পানি ফিরে আসতে পারবেন। তবে যেসব কর্মীর বয়স ৪৫ বছরের ওপরে এবং মালয়েশিয়ায় কমপক্ষে ১০ বছর অবস্থান করেছেন, তারা এ প্রক্রিয়ায় ফিরে আসতে পারবেন না। মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে মালয়েশিয়া সরকার ২০১৭ সালে স্থগিত করা পদ্ধতির পুনঃস্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। সরকার বিশ্বাস করে, এই পদ্ধতিতে মালয়েশিয়াতে বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো হবে না বরং নিয়োগকারীদের জন্য তার কোম্পানিতে কর্মীদের আগের (অনুমোদিত কোটা) সংখ্যাটি বজায় থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, একটি কোম্পানিতে সরকার অনুমোদিত ১০০ জন বিদেশি কর্মীর মধ্যে যদি ২০ জন কর্মী তার নিজ দেশে ইতোমধ্যেই চলে যায়, তাহলে ওই কোম্পানি চাইলে ইতোমধ্যে চলে যাওয়া ২০ জন কর্মীর স্থানে নতুন ২০ জন কর্মীর জন্য আবেদন করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে নতুন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোটার আবেদন করতে হবে না।
কিন্তু এই পদ্ধতিতে নিয়োগকর্তারা কোন দেশের শ্রমিকের বিপরীতে কোন দেশ থেকে শ্রমিকদের পুনঃস্থাপন করতে পারবেন তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। আবার মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা অবৈধ কর্মীদের প্রতিস্থাপন করতে পারবে কি-না, তার ইঙ্গিত নেই।
পণ্যের উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য শিল্পের মুখোমুখি হওয়া শ্রমিকদের ঘাটতির সমস্যা সমাধানে বিশেষ করে রফতানির জন্য সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান।
বিদেশি কর্মীদের প্রতিস্থাপনের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক নিয়োগকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।