লালমনিরহাটে শিশু ধর্ষনকারী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষনকারী আসামী সুজন মিয়াকে(২৫) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ মে) দিনগত মধ্যরাতে সদর উপজেলার দুরাকুটি ব্রীজ এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। গুলিবিদ্ধ সুজন মিয়া লালমনিরহাট পৌরসভার তালুক খুটামারা পিংকির মোড় এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে।
লালমনিরহাট সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা চৌধুরী জানান, শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার পুর্ব বিছনদই গ্রামের এক গৃহবধু তিন সন্তানসহ লালমনিরহাট থেকে বাড়ি ফিরতে জজ কোর্ট এলাকায় বাসের অপেক্ষায় ছিলেন।
এ সময় জজ কোর্ট এলাকার চা দোকানদার সুজনের সাথে তাদের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে বড় দুই সন্তানকে ওই চায়ের দোকানের রেখে ছোট সন্তানকে নিয়ে টয়লেটে যান। এসময় ওই গৃহবধুর বড় মেয়েকে (৮) বেড়ানোর কথা বলে জজ কোর্টের পিছনে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায় লম্পট সুজন।
এ সময় সুজন জোরপুর্বক ওই শিশুকে ধর্ষন করে। শিশুটির আতœচিৎকারে লোকজন ছুটে এলে লম্পট সুজন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ওই শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ধর্ষক সুজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুরাকুটি ব্রীজ এলাকায় ধর্ষক সুজনকে গ্রেফতার করলে তার সহযোগিরা পুলিশের উপর হামলা চালায়।
এসময় আতœরক্ষার্থে পুলিশ তিন রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছুড়লে সুজনের বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ সময় ধর্ষক সুজনের সহযোগিদের হামলায় সদর থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) সেলিম রেজা চৌধুরী, উপ পরিদর্শক (এসআই) মৃগেন্দ্র নাথ ও কনস্টবল মামুন আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষিত শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘাতক আসামী সুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার সুজন পুলিশের কাছে ধর্ষনের দায় স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।