শৈলকুপায় ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ
শহরের কোলাহল থেকে একটু শান্তির পরশ আর বিনোদন পেতে দুপুর থেকেই ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পুটিমারি গ্রামের মাঠে আসতে শুরু করে বিনোদন প্রেমীরা। কেউবা হেটে কেউবা সাইকেল বা মোটর সাইকেলে। উদ্দেশ্যে বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা দেখার।
আর বিনোদন পাওয়া ও অপরকে বিনোদন দিতে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি নিয়ে হাজির হয়েছিল নানা বয়সী মানুষ। কোয়াড়ে, ঢাউস, চিলা, বেড়া, ফিঙ্গেসহ প্রায় ১০ প্রকার রং বেরংয়ের ঘুড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় প্রতিযোগিরা। হাওয়ায় ভেসে থাকা ঘুড়ি সবার উপড়ে ওঠানোর লড়ায় চলে বিকাল পর্যন্ত। ৩ টি ক্যাটাগড়িতে হয় প্রতিযোগিতায়।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সোমবার শৈলকুপা উপজেলার পুটিমারি গ্রামের মাঠে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্থানীয় যুবসমাজ। মনোমুগ্ধকর ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ও দেখতে মাঠে ভীড় করে নানা বয়সী মানুষ। প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করার দাবি তাদের। ঝিনাইদহ শহর থেকে যাওয়া ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান টিটো বলেন, ঘুড়ি ওড়ানোর খবর পেয়ে দেখতে এসেছি। ছোট বেলায় গ্রামে এ প্রতিযোগিতা দেখেছি।
অনেক দিন পর এ প্রতিযোগিতা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। শৈলকুপা উপজেলা থেকে আসা আরাফাত হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিযোগিতা দেখতে আমি খুবই আনন্দিত। প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করা উচিত। যেন বর্তমান প্রজন্ম বাংলার ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারনা পাই। নিজে আনন্দ পাওয়া আর অন্যকে আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বলে জানালেন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া পুটিমারি গ্রামের পঞ্চাযার্ধে বশির উদ্দিন বলেন, ছোট বেলা থেকেই গ্রামের মাঠে ঘুড়ি উড়িয়েছি। যেখানেই এ প্রতিযোগিতায় হয় সেখানেই যায়। মুলত পুরস্কার জেতা মুল উদ্দেশ্যে নই। আমি আনন্দ পাই আর ঘুড়ি দেখে অন্যরা আনন্দ পায় এটাই মুল উদ্দেশ্যে।
আয়োজক ওই গ্রামের নাজমুল ইসলাম বলেন, হারানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আর তা বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই এ আয়োজন। দিনভর এই প্রতিযোগিতায় ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা শতাধিক ব্যক্তি তাদের ঘুড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সন্ধ্যায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।