রেমিটেন্সে প্রণোদনা প্রবাসীদের উৎসাহিত করবে
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবাসীদের রেমিটেন্সের বিপরীতে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণায় খুশি বিদেশে কাজ করা প্রবাসীরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের এধরনের উদ্যোগে বৈধপথে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়বে।
বর্তমানে মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশী প্রবাসী কাজ করে। তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রায় দেশের জিডিপিতে অবদান ১০ শতাংশের বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের গত এগারো মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ৫০৬ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বেশি।
তবে, এর বাইরেও প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে বড় অংকের রেমিটেন্স পাঠায় বলে আলোচনায় উঠে এসেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, বাড়তি বিনিময় হারের সুবিধাসহ বিভিন্ন কারণে তারা অবৈধ পথে অর্থ পাঠায় । প্রবাসীদের অর্থ বৈধপথে আনতে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের অবদানকে গুরুত্ব দিতে এবারে বাজেট রেমিটেন্সের বিপরীতে প্রণোদনার প্রস্তাবে আসে।
বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রেমিটেন্স প্রেরণে বর্ধিত ব্যয় লাঘব করা এবং বৈধপথে অর্থপ্রেরণ উৎসাহিত করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থের উপর আগামী অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদান করা হবে।
প্রণোদনার পাশাপাশি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বা তাদের পরিবারের আর্থিক সুরক্ষায় বীমা সুবিধা চালুর উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলা হয়েছে বাজেট ঘোষণায়। সর্বোপরি প্রথমবারের মত জাতীয় বাজেটে গুরুত্ব পাওয়ায় খুশী প্রবাসীরা।