মৌলভীবাজারে দীঘলগিজি স্কুলে একটি রাস্তার কারনে ঝড়ে পড়ছে শতাধিক কোমলমতি শিশু
মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিম দীঘলগীজি সমবায় সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের শত শত কোমলমতি শিশু ও ছাত্র ছাত্রীর জীবনে একটি রাস্তার কারনে অন্ধকার নেমে এসেছে। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী ও স্থানীয় মসজিদের মুসল্লিরাও মসজিদে যাতাযাত করতে পারছেন না। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে শতশত পরিবার।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পায়নি। জানা যায় বর্ষিজুড়া-দিগলগিজি এই রাস্তাটি শতাধিক বৎসর ধরে এলাকাবাসী ব্যবহার করে আসছে। রাস্তার পার্শ¦বর্তী মালিকরা ক্রমানয়ে জমি বিক্রি করে দেয়ায় বর্তমান জমির মালিক রাস্তাসহ ক্রয়কৃত জমির উপর কাটাতারের বেড়াসহ গাছ রোপন করে ফেলেন।
ফলে এলাকাবাসী,প্রাইমারী স্কুলের কোমলমতি শিশু ও মসজিদের মুসল্লিদের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা বন্ধ থাকার কারনে পশ্চিম দিগলগিজি সমবায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে আসতে গিয়ে ঝুপ জঙ্গলের মধ্যদিয়ে আসতে হয়। ফলে নিরাপত্তার কথা ভেবে অভিবাবকরা শিশুদেরে স্কুল আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
অনেকে আবার দূরবর্তী কোন স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এলাকার আব্দুল করিম ও মো: মশাহিদ মিয়া জানান পশ্চিম দিগলগিজি গ্রামে এগারো শত পরিবার বসবাস করে। ২০০৪ সালে পশ্চিম দিগলগিজি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টিত হয়।
এই বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাত শত। এই রাস্তাটি বর্ষিজোড়াসহ শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার এক মাত্র পথ। শত বছরের চলাচলের এই রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপার নিয়ে গন্যমান্য ব্যক্তি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের নিকট কয়েক বার অভিযোগ করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
মানবিক কারনে দিগলগিজি গ্রাম পার্শ্ববর্তী গ্রাম স্থানীয় স্কুল ও মসজিদে যাতাযাত করার জন্য একমাত্র রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেওয়া প্রয়োজন। নতুবা এক সময় রাস্তার কারনে স্কুলে শিশুরা আসা বন্ধ হয়ে যাবে। ছাত্র ছাত্রীর অভাবে এক সময় স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে।