বেনাপোলে হুন্ডি করে অর্থ পাচারের অভিযোগে ৩ পুলিশ ক্লোজড
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি।
সোমবার সকাল ৯ টার সময় তাদের আটক করে ভারতীয় বিএসএফ।
আটককৃতরা হলো ইমিগ্রেশন কনষ্টবল আযম উদ্দিন, রমা ও তৃষা এবং বেনাপোল বড়আচড়া গ্রামের রুহুল আমীন।
স্থানীয় সুত্র জানায় বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামের রুহুল আমিন বেনাপোল ইমিগ্রেশনে টেন্ডেল হিসাবে কাজ করে এবং পাশাপাশি বৈদেশীক মুদ্রা পাচার করে থাকে। সে তার কাজের ধারবাহিকতায় মোটা অংকের টাকার বিনিময় ইমিগ্রেশন পুলিশদের ব্যবহার করে।
এছাড়া ইমিগ্রেশনের কিছু অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারীরাও এসব অসৎ কাজের সাথে জড়িত দীর্ঘদিন ধরে। আযম নামে কনেষ্টেবল তার নেতৃত্বে ভারতীয় গেটের ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফকে বলে কনেষ্টেবল রমা, তৃষা ও রুহুল ভারতে যায়। এরপর ভারত থেকে ফেরার পথে বিএসএফ তাদের গোপন সংবাদের মাধ্যমে আটক করে তল্লাশি করে।পরে তাদের নিকট থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করে বিএসএফ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশার বলেন আমরা এ ধরনের একটি সংবাদ পেয়ে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের বিএসএফ ক্যাম্পে যাই। যেয়ে দেখি বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের রুহুল আমিনকে ২ লাখ টাকা সহ ভারতীয় বিএসএফ আটক করেছে।
আমার পুলিশ কনেষ্টেবল তিন জন তার সাথে একসাথে ভারতে ফল কিনে আবার তার সাথে ফেরার পথে সন্দেহ মুলক বিএসএফ তাদেরও আটক করে। পরে আমরা বিএসএফ এর সাথে কথা বলে ওই তিন কনেষ্টেবলকে দেশে ফেরত আনি বেলা ২ টার সময়। তবে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করার পর তাদের তাৎক্ষনিক যশোর পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। আর সাধারন পাবলিক রুহুল আমিনকে টাকা আনার অপরাধে ভারতীয় বিএসএফ চালান দিয়েছে সেদেশের আদালতে।
উল্লেখ্য বেনাপোল ইমিগ্রেশন কনেষ্টেবল আযম উদ্দিন এর আগে যশোর বেনাপোল মহাসড়কে ৭ বোতল মদ সহ বিজিবির কাছে আটক হয়। সেখানেও পুলিশের তৎকালীন ইমিগ্রেশন এর সেকেন্ড অফিসার ফজলুর রহমান মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনে।
বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার জানায় ভারতে ৪ জন গিয়েছিল কিন্তু বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তিনজনকে ফেরত এনেছে। বাংলাদেশী নাগরীক রুহুল নামে এক যুবককে পুলিশ ফেরত আনে নাই। তাকে হুন্ডি পাচারের অভিযোগে সেদেশের বিএসএফ চালান দিয়েছ।