দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিততে দিলেন না উইলিয়ামসন
পুঁজিটা বেশি বড় ছিল না। তাই যা করার করতে হতো বোলিং এবং ফিল্ডিংয়েই। চেষ্টা ত্রুটি ছিল না। দাঁতে দাঁত চেপেই শেষ চেষ্টা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তাদের সব চেষ্টাই ব্যর্থ করে দিলেন কেন উইলিয়ামসন। নায়কোচিত শতক হাঁকিয়ে নিউজিল্যান্ডকে এনে দিলেন ৪ উইকেটের জয়।
এ নিয়ে ৬ ম্যাচের ৪টিতে হেরে কার্যত সেমিফাইনালের আশা ভেস্তে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকার
শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ৯ রানেই ওপেনার কলিন মুনরোকে ফেরান রাবাদা। এরপর কেন উইলিয়ামসন এবং মার্টিন গাপটিল জুটি দলকে বেশ কিছুটা পথ এগিয়ে নেন। ৩৫ রানে গাপটিল ফেরার পর খেলার ছন্দটাই পাল্টে যায়। রস টেইলর এবং টম লাথাম দ্রুত ফিরে গেলে স্কোর দাঁড়ায় ৮০/৪। জয়ের দারুণ আশা জাগালেও তাদের সেই আশার গুড়ে বালি ঢেলে দেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। দলের চাপের সময় বুক পেতে সামাল দেন তিনি। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে জেসম নিশাম ফিরে গেলেও কলিন ডি গ্রন্ডহোম খেলেন কার্যকরি ইনিংস। রানের ধীর গতি সচল করেন তিনি। ৬০ রানে তাকে তাকে ফিরিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন লুঙ্গি এনগিদি।
শেষ দুই ওভারে ব্লাক ক্যাপসদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৪ রান। ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে গ্রন্ডহোম ফিরে যান। বাকি ৫ বলে ৬ রান দেন এনগিদি। রাবাদা ক্রিস মরিসদের কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় শেষ ওভারে ৮ রান রুখে দেয়ার দায়িত্ব পাড়ে আন্দিলে ফেলুকাওয়ায়ুর কাঁধে। কিন্তু ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের শতক পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার আশার গুড়েও বালি ছিটিয়ে দেন উইলিয়ামসন।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। এজবাস্টনে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে তারা করে ২৪১ রান।
বৃষ্টির কারণে টহ হয় বিলম্বে। টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ভেজা আউটফিল্ডের কারণে সময় নষ্ট হওয়ায় ওভার কেটে প্রতি ইনিংস করা হয় ৪৯ ওভারের। শুরুতেই ওপেনার কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করেন ট্রেন্ট বোল্ট। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও সুবিধা করতে পারেননি। ৩৫ বলে ২৩ রানে তাকে ফেরান লুকি ফার্গুসন। ধীর গতিতে খেলা হাশিম আমলার অর্ধশতক তুলে নিয়েই বিদায় নেন। ৩৮ রানে এইডিন মারক্রাম সাজঘরে ফিরলে ১৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ডেভিড মিলার এবং ফন ডার ডুসেনকে ৭২ রানের জুটিতে ভর করে দুইশ’ পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা।