প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মান বন্ধ রয়েছে গ্রামবাসীদের আবেদন জায়গা পুনঃনির্ধারন
সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চকবরু ভেংড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন পাকা ভবন নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়েল নতুন ভবনটি নির্মানের জায়গা পূনঃ নির্ধারনের আবেদনে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে এর নির্মান কাজ স্থগিত রয়েছে বলে জানা যায়। চকবরু ভেংড়ী গ্রামবাসিরা ভবনটির নির্মান শুরু করা জায়গার বদলে এর পাশেই বিদ্যালয়ের নিজস্ব আরেক জায়গায় নির্মান করার আবেদন জানিয়েছেন।
উল্লাপাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সুত্রে, উল্লাপাড়ার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চকবরু ভেংড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মানে চলতি বছরের প্রথম দিকে সরকারী অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারী এর দরপত্র আহবান এবং দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ২৮ মার্চ কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
এভবনটি নির্মানে চুক্তি মূল্য হয়েছে ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। স্থানিয় এলজিইডি থেকে এর নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এ কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যালয়টির পূরাতন ভবনের সামনের নির্ধারিত খোলা মাঠে নতুন ভবনের নির্মান কাজ শুরু করা হয়।
এ সময় চকবরু ভেংড়ী গ্রাম বাসিরা ভবনটি এর পাশেই বিদ্যালয়ের নিজস্ব আরেক জায়গায় নির্মানের মৌখিক আবেদন ও দাবি জানায়। গ্রামবাসীদের বক্তব্যে যে জায়গায় নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছিল সে জায়গাও বিদ্যালয়ের হলেও সেটি খেলার মাঠ এবং গ্রামের মধ্যে এক মাত্র খোলা জায়গা বলে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মিয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
একারনে তারা বিদ্যালয়ের আরেক জায়গায় নতুন ভবন নির্মানের বিষয়ে আবেদন জানায়। এ জায়গার পরিমান ২৫ শতক। জানাযায় গ্রামবাসীরা বিষয়টি নিয়ে একাধিক দিন সামাজিক বৈঠক করেছেন। তারা নতুন চিহ্নিত জায়গায় ভবনটি নির্মানের বিষয়ে একমত হয়েছে।
গ্রামবাসীদের পক্ষে চকবরু ভেংড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ ইয়াছিন তালুকদার, ভানটির নির্মানের জায়গা পুনঃনির্ধানের লিখিত আবেদন স্থানিয় উপজেলা প্রশাসন সহ উর্ধতন বিভিন্ন বিভাগে করেছেন বলে জানা যায়। এর সাথে ভবনটি নির্মানে জায়গা পুনঃনির্ধারনে বিদ্যালয় থেকে নেওয়া সিদ্ধান্তের একটি রেজুলেশন কপি জমা দেওয়া হয়েছে।
এ আবেদনের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মান কাজ স্থানিয় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে বলে জানা গেছে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ ইয়াছিন তালুকদার জানান, তাদের চিহ্নিত নতুন জায়গায় ভবনটি নির্মান করা হলে খেলার মাঠটি রক্ষা পাবে। দুটোই বিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গা এবং পুরাতন ভবন থেকে একই দূরত্বে জায়গা দুটির অবস্থান।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এমজি মাহমুদ ইজদানি জানান, গ্রামবাসীদের পক্ষে ভবনটির নির্মানের জায়গা পুনঃনির্ধানের বিষয়ে পাওয়া আবেদন ও রেজুলেশন কপি তার বিভাগ থেকে অনুমোদনে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, নতুন ভবন নির্মানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেখানো জায়গায় সয়েল টেস্টের মাধ্যমে তা নিধারন করা হয়েছে। স্থানিয় শিক্ষা বিভাগ থেকে জায়গা পূনঃনির্ধারনে যথাযথ ভাবে তার বিভাগকে জানানো হলে পুনরায় সয়েল টেস্টের মাধ্যমে উপযুক্ত জায়গা নির্ধারন করা হবে এবং ভবনটির নির্মান কাজ করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আরিফুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মানে জায়গা পূনঃনির্ধারনে আবেদনপত্রাদি উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্ঠ বিভাগে পাঠনো হয়েছে। জায়গা পূনঃনির্ধারন বিষয়ে অনুমোদন হয়ে আসলে প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে ভবনটির নির্মান কাজ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।