ঢামেকে প্রথমবারের মতো অ্যালোজেনিক বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট
ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) প্রথমবারের মতো স্ট্যান্ডার্ড ও সম্পূর্ণ বোনম্যারো ও মাইলো-এবলেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে অ্যালোজেনিক বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট (বিএমটি) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঢামেক-এর হেমাটোলজি বিভাগের বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইউনিটের অধ্যাপক ডা. এম এ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বুধবার সকাল ১০টায় ঢামেক হাসপাতালে নার্গিস সুলতানা (২৯) নামে এক রোগীর চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। নার্গিসকে তার ছোট ভাই ২৬ বছর বয়সী মাহিন শেখের শরীর থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ করে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। বর্তমানে নার্গিস সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। হেমাটোলজি ও বিএমটি বিভাগের এই অধ্যাপক বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যানটি সম্পন্ন করেছেন।
নার্গিস দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারে (হাই রিস্ক একিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া) ভুগছিলেন। নার্গিস একজন গৃহিণী ও রাজবাড়ীর খোলাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী ও দুইজন কন্যা সন্তান রয়েছে। নার্গিসের স্বামী সামান্য মুদির দোকানদার। তার পক্ষে নার্গিসের চিকিৎসা ব্যয় করা সম্ভব ছিল না। এ অবস্থায় আকিজ ফাউন্ডেশন তাকে আর্থিক সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে।
ঢামেক হাসপাতালে ২০১৪ সালের মার্চ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৪২ জন রোগীর শরীরে সফলভাবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়েছে। কিন্তু অ্যালোজেনিক বিএমটি এই প্রথমবারের মতো হয়েছে।