দেরিতে হলেও সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আড়ৎদাররা - চট্টগ্রামে ১ লাখ চামড়া রাস্তায়,
সরকার চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিলেও তা কোন কাজে আসবে না বলে দাবি চট্টগ্রামের মৌসুমী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের। তবে দেরিতে হলেও সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আড়ৎদাররা। এদিকে, চামড়ার বাজারে ভয়াবহ ধসের প্রতিবাদে নগরীর বিভিন্ন স্থানে এক লাখের বেশি চামড়া ফেলে চলে যায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। যা গভীর রাত পর্যন্ত বর্জ্য হিসেবে তুলে নিয়ে ডাম্পিং স্টেশনে ফেলে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় ফেলে দেয়া কোটি কোটি টাকার চামড়া বর্জ্য হিসেবে তুলে নিয়ে ডাম্পিং ষ্টেশনে ফেলে। দেশের চামড়া বাজারের ইতিহাসে সবচে বড় কারসাজির প্রতিবাদে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা এক লাখ পিসের বেশি চামড়া রাস্তায় ফেলে চলে যান। যা নজীরবিহীন।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা জানান, নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় ফেলে দেয়া চামড়া বর্জ্য হিসেবে ডাম্পিং স্টেশনে ফেলা হয়েছে।
এবার কোরবানির চামড়ার বাজারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা শুরুতেই সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। পাইকারি চামড়া ক্রেতা এবং আড়ৎদারের প্রতিনিধিরা মিলে এই সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ চামড়া সংগ্রহকারী মৌসুমী ব্যবসায়ীদের।
চামড়ার ন্যূনতম দাম না পাওয়ায় নগরীর আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় চামড়া ফেলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। আর দেরিতে নেয়া সরকারের চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্তে কোন সুফল আসবে না বলেও মনে করেন তারা।
অন্যদিকে, সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন ও স্বাগত জানিয়েছেন আড়ৎদাররা।
আড়ৎদাররা এবার চট্টগ্রামে সাড়ে ৫ লাখ গরুর চামড়া ও ৮০ হাজার ছাগলের চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন।