আগামী ২২ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু প্রথম দফায় ৩৫৪০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার
এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রথম ধাপে ৩ হাজার ৫শ' ৪০ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চায় নেইপিদো। এদিকে প্রত্যাবাসনে সব ধরনের সহযোগিতার করার কথা জানিয়েছে তুরস্ক।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইনে ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। দু'বছর হতে চললেও একজনও ফিরে যেতে পারেননি নিজ দেশে।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সমঝোতা হয়েছে।
প্রথম দফায় বাংলাদেশের দেয়া ২২ হাজার রোহিঙ্গার নামের তালিকা থেকে যাচাই বাছাই শেষে ৩ হাজার ৫শ' ৪০ জনকে মিয়ানমার ফেরত নিতে যাচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কাউকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাখাইনে ফেরত পাঠানো হবে না বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। গেল বছর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে মিয়ানমার। ২০১৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি শুরু করলেও, রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যেতে অপারগতা প্রকাশ করায় ঝুলে যায় প্রক্রিয়া।
এর মধ্যেই মিয়ানমারে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তার দেশ সব রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সেজন্য মিয়ানমারকে যথাযথ চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি