রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা UNHCR-এর মুখপাত্র বলেন, রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির ওপর নির্ভর করছে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার গতি। কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য আরও অর্থ সহায়তা চেয়েছে ইউনিসেফ। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা সংকটসহ আঞ্চলিক নানা ইস্যুতে আলোচনা করতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
আগামী ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। প্রথম ধাপে ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেবে নাইপিদো। এ ধারা অব্যাহত রাখতে মিয়ানমারকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা UNHCR বলছে, রাখাইনকে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ করা গেলে ত্বরান্বিত হবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।
ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র, ক্যারোলাইন গ্লুক বলেন, এখনও বলা যাচ্ছে না যে, পুরো প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ঠিক কতদিন লাগবে। তবে প্রথম ধাপে রোহিঙ্গারা ফিরে গেলে এ পথ সুগম হবে। এক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন হতে হবে। রোহিঙ্গারা পূর্ণ মর্যাদা এবং অধিকার সমেত রাখাইনে ফিরে যেতে চায়। মিয়ানমার সরকারকে রাখাইনের পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে হবে, যেন তারা সেখানে গিয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে।
রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশে জরুরি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে ইউনিসেফ ২ হাজার ১৬৭টি শিক্ষাকেন্দ্রে ১ লাখ ৯২ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করেছে। তারপরও ২৫ হাজারের বেশি শিশু কোনো ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে না এবং এখনও অতিরিক্ত ৬৪০টি শিক্ষাকেন্দ্রের প্রয়োজন। এছাড়া, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের ৯৭ শতাংশ এখনও কোনো ধরনের শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের শিক্ষার জন্য আরও অর্থ সহায়তার প্রয়োজন। যা নিশ্চিত করতে হবে দাতা দেশগুলোকে।
এদিকে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তাদের মতামত তুলে ধরতে পারবে বলে আইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ অবস্থায় সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামনিয়ম জয়শঙ্কর। সফরে দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি কথা হবে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও।