সাধু নাগ মহাশয় ছিলেন নিরঅহংকারী, সাহসী ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ – স্বামী পূর্ণত্মানন্দজী মহারাজ
সাজু হোসেন নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
সাধু নাগ মহাশয়ের ১৭৩ তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
রবিবার সন্ধ্যায় দেওভোগ নাগবাড়ী সাধু নাগ মহাশয়ের আশ্রমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে নাগ মহাশয়ের আশ্রমে দিনব্যাপী কবিতা আবৃত্তি, নৃত্যানুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় নাগ মহাশয়ের জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণত্মানন্দজী মহারাজ বলেন, সাধু নাগ মহাশয় ছিলেন একজন নিরঅহংকারী, সাহসী ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ। যিনি কোন দিন নিজের লক্ষ্য থেকে ফিরে আসেননি।
মা সারদা দেবী বলতেন, কত ভক্তইতো দেখলাম কিন্তু সাধু নাগ মহাশয়ের মত ভক্ত দেখিনি। আমরা যদি তার আদর্শকে অনুসরন করি তাহলে আমাদের জীবন অনেকখানি সার্থক হবে। তার কারনেই আজকের এ জায়গাটি পবিত্র ভূমিখন্ডের রুপ পেয়েছে। আপনারা পেয়েছেন একজন মহাপুরুষের সান্নিধ্য। কিন্তু এখানে এসে এই আশ্রমের কমিটির ব্যাপারে কিছু কথা শুনলাম। যা শুনে আমি মর্মাহত।
এটা একটা পূণ্যভূমি, এখানে মানুষ আসে নিজের মনকে সার্থক করতে কিন্তু ২/১ জন লোক যদি আছে যারা কমিটির ব্যাপারে কটু কথা ছড়াচ্ছে। তাই আমি বলতে চাই, কমিটি যে কাজ করছে তাতে করে আশ্রমের উন্নয়ণ হচ্ছে। যদি কমিটির ব্যাপারে কারো কোন দূরভিসন্ধি থেকে থাকে তাহলে তা মন থেকে মুছে ফেলুন। নইলে তাদের জন্য রয়েছে আদালত।
তিনি আরো বলেন, আমি এ জেলার পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন আমরা যেভাবে চাইবো সেভাবেই কাজ করা হবে। তাই বলবো সাবধান হয়ে যান, নিজের ক্ষতি নিজে ডেকে আনবেন না। আমি এ আশ্রমের কমিটির সাথে রয়েছি এবং আশ্রমের উন্নয়ণ কাজে আমি যতটুকু পারি সহযোগীতা করবো।
সাধু নাগ মহাশয় আশ্রমের সভাপতি সরোজ কুমার সাহার সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একানাথানন্দজী মহারাজ, বাংলাদেশ এফবিসিসিআই এর পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি পরিতোষ কান্তি সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন, সাধু নাগ মহাশয় আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য, খনেন্দ্র নাথ সরকার সহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ।