গ্রামীণফোনের লাইসেন্স বাতিলের ‘খবরে’ শেয়ার বাজারে দরপতন
সোমবারের বড় পতনের পর মঙ্গলবার বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও বুধবার ফের পতনের ধারায় ফিরেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিক্রির চাপে দরপতন হচ্ছে। গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম কমার প্রভাবও পড়ছে বাজারে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) গ্রামীণফোনের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে -এমন খবরে আজ বুধবার সকাল থেকেই শেয়ার বাজারে পতন শুরু হয়। এই ধারা অব্যাহত থাকে বিকাল পর্যন্ত। গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ১ দশমিক ১২ শতাংশ কমে ৩১৬ টাকা ৫০ পয়সায় এসে থামে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ার বিক্রির চাপে দরপতন হচ্ছে। গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম কমার প্রভাব পড়ছে বাজারে। কারণ গ্রামীণফোন শেয়ার বাজারের অন্যতম বড় একটি কোম্পানি।
গ্রামীণফোনের লাইসেন্স বাতিলের খবর ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে, বিটিআরসির দাবি, গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের।
বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও মোবাইল অপারেটর কোম্পানি জিপি সেই টাকা শোধ করেনি। এখন প্রতিষ্ঠান দুটির লাইসেন্স বাতিলের মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিটিআরসি।
এ ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ওই দুই অপারেটরের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে ইতোমধ্যে নোটিস পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে।
তিনি বলেন, আমরা তো প্রথমে ক্যাপ (ব্যান্ডউইথ কমানো) করেছি, পরে তাদের এনওসি (সেবার অনুমোদন ও অনাপত্তিপত্র) দেওয়া বন্ধ করেছি। এখন তাদের নোটিস দেওয়া, আরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি।
পুঁজিবাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, আজকের সূচকের পতনের পেছনে গ্রামীণফোনের অবদান সবচেয়ে বেশি।