আর্ন্তজাতিক গুম দিবস উপলক্ষ্যে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর মেয়ে ফখরুলকে দেখা দেয়নি
আর্ন্তজাতিক গুম দিবস উপলক্ষ্যে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে তার বাসায় গিয়েছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু এ সময় তার সামনে আসেননি ছোট মেয়ে সাইয়ারা নাওয়াল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে ইলিয়াস আলীর বাসায় এসেছি তার ছোট মেয়ে আমাদের সামনে আসেনি। আসেনি এজন্য যে, সে অত্যন্ত বিব্রতবোধ করে কষ্ট পায়। আমার মনে আছে ৬ বছর আছে যখন এখানে আসি আপনারা সবাই দেখেছেন ফুঁটফুটে একটা বাচ্চা মেয়ে প্রতিদিন বাবার জন্য অপেক্ষা করত। আমরা তাদের পাশে আছি। আমরা আশা করবো, ভবিষ্যতে এর একটা সুষ্ঠু বিচার হবে।
তিনি বলেন, এনফোর্স ডিজএপিয়ারেন্স- এটা সম্পূর্ণরুপে মানবতাবিরোধী একটা অপরাধ। জাতিসংঘের যে একটা চাটার্ড আছে সেই চাটার্ডে পরিষ্কার বলা হয়েছে -দিস ইজ এ ক্রাইম এগেইনস্ট হিউমেনিটি। আজকে এই সরকার অভিযুক্ত হবে, এই ক্রাইম এগেইনস্ট হিউমেনিটির জন্যে। আমরা একটা জিনিসে বিশ্বাস করি, একদিন না একদিন এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্যে বিচার হবেই। আজকে বাংলাদেশে গণতন্ত্রহীনতা আছে, জনগনের প্রতিনিধি নেই। সত্যিকার অর্থে যেদিন জনগনের প্রতিনিধির সরকার গঠিত হবে সেইদিন এর বিচার অবশ্যই হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহোদয় গতকাল পরামর্শ দিয়েছেন যে, আজকে যে, আমরা এই গুম দিবসে আমাদের দলের যারা গুম হয়েছেন যথা সম্ভব তাদের বাসায় যাওয়ার চেষ্টা যেন করি। আমি ইলিয়াস আলীর বাসাসহ চারটি বাসায় গিয়েছি। আমাদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ঢাকা শহরে যারা আছেন তাদের বাসায় গিয়েছেন।
ইলিয়াস আলী, নিজামুদ্দিন মুন্না ও তারিকুল ইসলাম ঝন্টুর বাসা ছাড়াও নাখালপাড়ায় সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায়ও যান মহাসচিব। এ সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন, এসএম জাহাঙ্গীর, শায়রুল কবির খান, সাহাবুদ্দিন সাগর, আলী আকবর আলী, জুলহাস পারভেজ, মুনির হোসেন, আফাজউদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বংশালে মো. সোহেল, জহিরুল ইসলাম জহির, পারভেজ হোসেন, মো. চঞ্চল, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সূত্রাপুরের খালিদ হোসেন সোহেল, সেলিম রেজা পিন্টু, সম্রাট মোল্লা এবং সেলিমা রহমান সবুজবাগে মাহবুব হাসান সুজন ও কাজী ফরহাদ হোসেনের বাসায় গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন।
গুম হওয়া পরিবারদের জন্য নেতৃবৃন্দ তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ফলের ঝুড়ি নিয়ে যান।