৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত এসএমই ঋণের ব্যবস্থা হচ্ছে উদ্যোক্তাদের জন্যে
কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সংজ্ঞা ও ঋণসীমা, অর্থায়ন, নারী উদ্যোগ ও বিভ্ন্নি পুনঃঅর্থায়ন সংক্রান্ত পূর্বের নির্দেশনাসমূহ সংশোধন করে মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রকাশিত আগের সকল সার্কুলার রহিত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বাংলাদেশের সকল তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা নিট ও অগ্রিম ঋণ স্থিতির মধ্যে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে (সিএমএসএমই) নিট ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির পরিমাণ প্রতিবছর ১ শতাংশ বৃদ্ধিসহ ২০২৪ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
সার্কুলার অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের পূর্ববর্তী বছরে নিট ঋণ ও অগ্রিম স্থিতির ভিত্তিতে সিএমএসএমই ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই বিভাগকে অবহিত করবে।
সিএমএসএমই অর্থায়নে প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পৃথক ব্যবসায়িক কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদা ও বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতের প্রকৃতি অনুযায়ী ঋণ ও আমানতের উদ্ভাবনীমূলক পণ্য উন্নয়ন ও বিপণন করতে হবে। প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিএমএসএমই কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সিএমএসএমই অর্থায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করবে।
সার্কুলারে আরো উল্লেখ করা হয়, সিএমএসএমইর কুটির উপখাতের উৎপাদনশীল শিল্প সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা ঋণ পাবে। মাইক্রো উপখাতের উৎপাদনশীল শিল্প সর্বোচ্চ ১ কোটি, সেবা শিল্প ৫০ লাখ ও ব্যবসা খাত ২০ কোটি টাকা ঋণ পাবে। ক্ষুদ্র উপখাতের উৎপাদনশীল শিল্প সর্বোচ্চ ২০ কোটি এবং সেবা ও ব্যবসা খাত ৫ কোটি টাকা করে ঋণ পাবে। আর মাঝারি উপখাতের উৎপাদনশীল শিল্প ৭৫ কোটি ও সেবা শিল্প ৫০ কোটি টাকা ঋণ পাবে।
সহায়ক জামানতের বিষয়ে সার্কুলারে বল হয়, সিএমএসএমই ঋণের প্রসারে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জামানতের বিষয়টিকে অন্যতম সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হয়। এ সমস্যা সমাধানে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও গ্রুপ গ্যারান্টিকে জামানত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে। এছাড়া ক্ষেত্রবিশিষে ঋণ গ্রহীতা কর্তৃক পূর্বে গৃহীত কোন প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের মূল্যায়নের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করা যেতে পারে।