বিক্রি না হওয়ার ভয়ে আইফোন ১১’র দাম কমালো এ্যাপল বিক্রি করবে ৬৯৯ ডলারে
সেই ২০১৭ সালে আইফোন ১০ এনেছিলো অ্যাপল। অন্যান্য ফোন কোম্পানিগুলো তখনও হাজার ডলারের ধারে কাছে যায়নি অথচ সে সময় আইফোন ১০ এর দাম শুরুই হয়েছিলো হাজার ডলার থেকে।
পরের বছর আইফোন ১০ এস ম্যাক্সের দাম আরও বাড়িয়ে রাখা হয় ১০৯৯ মার্কিন ডলার। ব্যস, এতেই আইফোনের গায়ে সেঁটে যায় ব্যয় বহুল ফোনের ট্যাগ।
এতো বেশি দাম দিয়ে আইফোন কিনতে আগ্রহী হননি ক্রেতারা। প্রতিষ্ঠানটির সিইও টিম কুক জানান, পুরানো ব্যবহারকারীরা নতুন আইফোন কিনছেন না। বিক্রি বাড়াতে চীনে ও ভারতে দাম কমানো হয় আইফোনের।
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার আইফোন ১১ তারা বিক্রি করবে ৬৯৯ ডলারে (৫৮ হাজার ৭১৬ টাকা)। সাম্প্রতিক সময়ে আর কোনো আইফোনের দাম এতো কম রাখা হয়নি।
২০১৮ সালের আনা তিন আইফোনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় সাশ্রয়ী দামের আইফোন ১০ আর। এই ফোনের দাম ধাপে ধাপে কমায় অ্যাপল। এতে বছর শেষে সর্বাধিক বিক্রীত ফোনের তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নেয় আইফোন ১০ আর।
বাকি দুই আইফোনের বিক্রি বাড়াতে বিনিময় সুবিধা ও মাসিক কিস্তির অফার চালু করে অ্যাপল। এতে আশানুরূপ সাফল্য পায়নি তারা। ফলে এবার আইফোন ১১ প্রো ও আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্সের দাম আইফোন ১০ এস ও আইফোন ১০ এস ম্যাক্সের চেয়ে বাড়ানো হয়নি।
আইফোন ছাড়াও কমানো হয়েছে নতুন সংস্করণের আইপ্যাডের দাম। ১০ দশমিক ২ ইঞ্চির আইপ্যাডও এবার পাওয়া যাবে ৩২৯ ডলারে (২৭ হাজার ৬৩৬ টাকা)।
সবারই প্রায় ধারণা ছিলো, অ্যাপল টিভির সাবস্ক্রিপশন সেবার ফি হবে ৯ দশমিক ৯৯ ডলার। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে অ্যাপল জানিয়েছে, মাত্র ৫ ডলারেই অ্যাপল টিভি প্লাস সাবস্ক্রাইব করা যাবে। একই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে গেইমিং সার্ভিস আর্কেডের ক্ষেত্রেও।
দাম অনুযায়ী পণ্য বা সেবার মান কেমন- এটা যে একজন ক্রেতারা কাছে অনেক বড় প্রশ্ন তা হয়তো বুঝতে শুরু করেছে অ্যাপল।