কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আরও দুই রোহিঙ্গা কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।
নিহতরা হলেন-টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা জমির আহম্মদের ছেলে আব্দুল করিম (২৪) এবং একই ক্যাম্পের ছৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহম্মদ ওরফে নেছার ডাকাত (২৭)। তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকিয়াব জেলার মংডু থানা বুচিদং হাসুরতা এবং বুচিদং পুইমালী এলাকার বাসিন্দা। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল মোহাম্মদ নাবিল ও রবিউল ইসলাম।
ওসি প্রদীপ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামিরা এবং কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অবস্থান করছে-এমন খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছা মাত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।
এক পর্যায়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে দু’জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে পাওয়া যায় দু’টি দেশীয় বন্দুক, ৭টি গুলি ও ৯টি গুলির খালি খোসা।
তিনি জানান, আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ দু’জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখানে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, নিহত দু’জনই যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় জড়িত ছিলেন। তারা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এ ছাড়া হত্যা, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা পালাতক ছিলেন।
গত ২২ আগস্ট রাতে একদল রোহিঙ্গা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে তুলে নিয়ে পাহাড়ের কাছে গুলি করে হত্যা করে।
এর পরদিন ২৩ আগস্ট মুহাম্মদ শাহ ও আব্দুস শুক্কুর নামে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী একই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এরপর ১ সেপ্টেম্বর ভোরে ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।