প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বিএনপি ও খালেদা জিয়া: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নয়, প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বিএনপি ও খালেদা জিয়া।’
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের কার্যালয়ে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শীর্ষক আলোচনা সভায় রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশ্য দিবালোকে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। বিএনপি কখনো গ্রেনেড হামলার শিকার হয়নি।’
ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে ড. হাছান আরো বলেন, ‘শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারের মত সাবেক মন্ত্রী বা এমপিকেও বিএনপির সময় প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছে। পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে হাজার মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ কারা দিয়েছিল, সে তথ্যপ্রমাণ সরকারের কাছে আছে। সে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে টেলিভিশনের সামনে যারা গলাবাজি করেন, তাদের জেলেই থাকতে হতো।’
‘প্রতিহিংসার রাজনীতি করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দ্রুততার সাথে কোনো বিশেষ কোর্টে করতে চাইতেন কিন্তু তিনি তা করেননি, সাধারণ কোর্টে যেভাবে মামলা পরিচালনা হয়, সেভাবেই করা হয়েছে’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান এসময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর হাতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দীক্ষা।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সভাপতি সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম এবং অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।