টি-টুয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে আফগানিস্তান
টি-টুয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে আফগানিস্তান। মুখোমুখি দেখায়ও তাদের জয় বেশি। গত বছর দেরাদুনে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে যে উত্থানযাত্রা রশিদ-নবি-মুজিবদের, সেটি অব্যাহত রেখেছে টাইগারদের ডেরায় এসেও।
রোববার ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজের ম্যাচে বাংলাদেশকে তারা হারিয়েছে হেসেখেলেই। এমন বাস্তবতায় স্বাগতিক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান স্বীকার করে নিলেন, টি-টুয়েন্টিতে আফগানিস্তান বড় দল।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে এতটা বিমর্ষ হয়তো কমই দেখা যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পর সাংবাদিকদের করা বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরই শেষ করেছেন দুই, এক কথায়। তবে যতটুকু কথা বলেছেন তাতে দায়িত্বটা খেলোয়াড়দের নিজেদের নেওয়ার উপরই জোর দিয়েছেন।
আফগান জুজু যেন কাটছেইনা বাংলাদেশের, টেস্টের পর ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দেখাতেই ২৫ রানের হার। আবারও ব্যর্থ টপ অর্ডার। বৃথা গেছে মুশফিককে ওপেন করানো সিদ্ধান্তও। কি চিন্তা করে মুশফিকের ওপেনিংয়ে আসা? সাকিব বলছেন দলীয় সিদ্ধান্ত,” এটা আসলে সবার সাথে আলোচনা করেই নেওয়া। মূলত যারা অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছে, অভিজ্ঞতা বেশি তাদের দিয়ে চাপ কমানোর জন্যই উপরের দিকে খেলানো। আমরা যদি উপরের দিকে ভালো খেলতে পারি সেটা দলের জন্যও ভালো।”
আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলোয়াড়দের স্কিল ঘাটতি নাকি মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়াটা হারের কারণ? দল হিসেবে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে ছিল বলেও কি কোন পার্থক্য তৈরি হয়েছে? সাকিব বলছেন, “দুটোই, তারা অবশ্যই আমাদের চেয়ে বড় দল টি-টোয়েন্টিতে। আমরা দশ ওরা সম্ভবত সাত (আসলে সাতই)। আমাদের উপরে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা। তাদের সাথেও আমরা হারি, আর আফগানিস্তানের সাথে পার্থক্যতো বেশিই। যেটা দেরাদুনে প্রমাণ হয়েছে আজ আবারও হল। তবে সাথে এটাও বলতে হয় আমরা ম্যাচটা অনেকটা তাদের হাতে তুলে দিয়ে এসেছি। একটা সময় ছিল যখন আমরা ম্যাচটা নিজেদের দুহাতে নিয়ে নিতে পারতাম, সেটা আমরা পারিনি।”
১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় টপ অর্ডারতো ব্যর্থই সাথে আউটের ধরণ কিংবা শর্ট নির্বাচনে ছিলো এলোমেলো ভাব। লক্ষ্য তাড়ার চাপই কি তবে সাকিবদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে? বাংলাদেশ দলপতি বলছেন, “চাপতো থাকেই, বড় রান তাড়া করতে গেলে চাপ থাকা স্বাভাবিক। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বড় ভূমিকা রাখে। দুদিনই আমাদের শুরুটা হতাশাজনক। প্রথমদিন উইকেট অনেক কঠিন ছিল তবে আজকে অনেক বেটার ছিল আমি মনে করি। ওদের অনেক ভালো মানের বোলার আছে, এটা একটা বড় ভূমিকা রেখেছে পার্থক্য তৈরিতে। ওদের খুব বেশি ভালো ব্যাটিং হলেও খুব বেশি ১৩৫ হওয়ার কথা ছিল। যখনই ওরা ওই পরিস্থিতি থেকে ১৬০ এর বেশি করেছে আমরা পিছিয়ে পড়ি,চেষ্টা করেছি পারিনি। আমরা ম্যাচের পেছনেই ছুটেছি, কখনোই এগিয়ে থাকতে পারিনি।”
বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশের মূল সমস্যা দল হয়ে খেলতে না পারা। আর তারই ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজেও, সাকিব বলছেন দল হিসেবে না খেলতে পারলে আসবেনা সফলতা, “প্রতি ম্যাচেই দুই একজন ভালো করছে৷ দিনশেষে দল হিসেবে না খেলতে পারলে ফল আসবেনা। বেশিরভাগ ভালো করছে, দুই একজন খারাপ খেললে খুব একটা প্রভাব পড়েনা। কিন্তু আপনাকে দল হিসেবেই খেলতে হবে।”