গাজীপুর ভোগড়া হইতে ১৮,৭০০(আঠারো হাজার সাতশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০২ জন ইয়াবা ডিলারকে আটক।
বিষয়ঃপ্রেস বিজ্ঞপ্তি র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা
১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময়ই অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সদস্যদের গ্রেফতার পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে র্যাব একটি বিশেষ দল গঠন করে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
২। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত মাদক পরিবহনে নিত্য নতুন ও অভিনব কৌশল অবলম্বন করে আসছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদক পাচারের ট্রানজিট হিসেবে বিভিন্ন এসএ পরিবহন/ কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ী ক্যাম্প কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন দীর্ঘ দিন যাবৎ উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং ০৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখ অনুমান ২২.০০ ঘটিকার সময় র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী, পোড়াবাড়ী ক্যাম্প, গাজীপুর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, একটি ইয়াবার বড় চালান কক্সবাজার এলাকা হইতে এস. এ পরিবহনের মাধ্যমে গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় নিয়ে এসেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অত্র কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, (জি), বিএন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ জিএমপি, গাজীপুর, বাসন থানাধীন জিএমপি, গাজীপুর, বাসন থানাধীন ভোগড়া বর্ষা সিনেমা হলের বিপরীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশের্^ এস. এ পরিবহন অফিসের সামনে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে আসামী ১। মোঃ সাইদুর ইসলাম(৩০), পিতা-মোঃ আঃ হাই, মাতা-রহিমা বেগম, সাং-জোড়দিঘী, থানা-ঘাটাইল, জেলা-টাঙ্গাইল, ২। মোঃ হারুন মিয়া(৩৪), পিতা-মোঃ ফয়েজ আলী, মাতা-মোসাঃ হনুফা বেগম, সাং-সাফিয়াচালা, থানা-সখিপুর, জেলা-টাঙ্গাইলদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে ফোর্সের সহায়তায় আসামীদের দখলে থাকায় ০২ টি নতুন ওয়াশিং মেশিনের ভিতর সুকৌশলে রক্ষিত অবস্থায় সর্বমোট ১৮ হাজার ৭০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৫,৮০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
৪। ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা সংঘবদ্ধ একটি আন্তর্জাতিক ইয়াবা ডিলার। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাইপথে বিদেশ হইতে ইয়াবা ট্যাবলেট আমদানি করিয়া অভিনব কৌশল অবলম্বন করে দেশে অবস্থিত বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস/এস. এ পরিবহনের মাধ্যমে চট্রগ্রাম, কক্সবাজার ও বিভিন্ন এলাকা হইতে গাজীপুরে নিয়ে এসে বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসিতেছিল। অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিজ হেফাজতে রাখিয়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) এর টেবিল ১০(গ) ধারার অপরাধ করিয়াছে।