রাজধানীতে শুরু হয়েছে ভর্তি বাণিজ্য
নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের ভর্তিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে শুরু হয়েছে ভর্তি বাণিজ্য। সরকারের ভর্তি নীতিমালা মানছে না বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর বলছে, এ খাতের অনিয়ম রোধ করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ১১টি টিম। রাজধানীর বেসরকারি একটি স্কুলে ৪র্থ শ্রেণিতে ভর্তি হতে একজন শিক্ষার্থীকে মোট ২৫ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। আর এই টাকায় শিক্ষকদের বেতন থেকে শুরু করে যুক্ত করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের ক্লাস পার্টির খরচও। ভর্তি বাণিজ্যের এ চিত্র রাজধানীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই। নীতিমালায় বলা আছে, মেট্রোপলিটন এলাকায় নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনে ভর্তি ফি বাবদ সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা ও ইংলিশ ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নেয়া যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ নীতিমালার তোয়াক্কা না করায় অসহায় অভিভাবকরা। এক অভিভাবক বলেন, আসলে ফি অনেক বেশি। এখন শিক্ষার মান টাকার ওপর নির্ভর হয়ে গেছে। এখন মনে হচ্ছে, যাদের টাকা আছে, তারা ভালো স্কুলে পড়বে। আর যাদের টাকা নেই। তারা ভালো স্কুলে পড়বে না। নিজেদের টাকায় চলতে হয় বলেই বাড়তি ভর্তি ফি, দাবি স্কুলগুলোর। স্কুল কর্তৃপক্ষের একজন বলেন, যেগুলো এমপিওভুক্ত রয়েছে, তারাও ফি বেশি নিচ্ছে। আর আমাদের এখানে ছাত্রদের সংখ্যা অনেক কম। এমনিতেই প্রতি মাসে স্কুল সব কিছুর ব্যয় বহন করে, আমরা হিমসিম খাচ্ছি। স্কুল কর্তৃপক্ষের আরেক জন বলেন, এখানে সর্বোচ্চ ক্লাসে ৩০ হাজার এবং সেটা নিয়ম মাফিক নির্ধারিত। তারপরও আমাদের যে খরচ, সেটা পূরণ করতে পারি না। এদিকে ভর্তি ফি বাবদ বাড়তি টাকা ফেরত না দিলে অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি সরকারের। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের কলেজ প্রশাসনের পরিচালক অধ্যাপক শাহেদ কবির চৌধুরী বলেন, আমাদের এখানে ১১ টি টিম রয়েছে। এবং আমরা যেটি লক্ষ্য করেছি, যে ঢাকা মহানগরীতে এই ফি বেশি নেয়ার প্রবণতা আছে। তাই আমাদের পক্ষ থেকে এই কমিটিগুলো সক্রিয় আছে। যদি এর মাধ্যমে কোন অভিযোগ আসে, তাহলে সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিবো। বছর বছর স্কুলে ভর্তির বাড়তি খরচ গুণতে হিমশিম খাচ্ছেন অভিভাবকরা।