আগামী দুই দিন হালকা বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে
রাজধানীসহ দক্ষিণাঞ্চলে আগামী দুই দিন হালকা বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতর। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সময় সংবাদকে এ কথা জানান আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক।
এ আবহাওয়াবিদ বলেন, দেশের যেসব অঞ্চলে বৃষ্টি হবে সেই অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ মাপমাত্রা টেকনাফে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলতে পারে রাজধানীতে। এদিকে সকালে কুয়াশা ভেদ করেই রাজধানীবাসী যার যার গন্তব্যে রওনা হন।
পঞ্চগড় : উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
যশোর : এদিকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে যশোরের জনপথ। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।রংপুর : মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলেও শীতের প্রকোপ কমেনি হিমালয়ের কোল ঘেঁষে থাকা উত্তরের জনপদ রংপুরে। শীতের কবল থেকে বাঁচতে গরম কাপড়ের সন্ধানে কম দামের দোকানগুলোতে রাতেও ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষেরা।
ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় রাস্তায় হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। আবার ফসলি জমিতে কাজে যেতে পারছে না কৃষকেরা। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
হাড়কাঁপা এই শীতেও দু'পয়সা রোজগারের জন্য নগরীর অলিগলিতে খেটে খাওয়া মানুষের অপেক্ষা। তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় স্থবির হলেও সংসারের বড় দায়িত্বের কাছে সব কষ্ট তুচ্ছ করে ছুটছেন কর্মজীবী মানুষেরা।
টানা কয়েকদিন কষ্ট ভোগার পর শীতের কবল থেকে বাঁচতে গরম কাপড়ের সন্ধানে নগরীর আলমনগরে কম দামের দোকানগুলোতে রাতেও ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষেরা।
এদিকে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ আরেকটি মৃদু শৈত প্রবাহে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।