বিশ্বমানের সুবিধা শাহজালাল বিমানবন্দরে
বিশ্বমানের সব সুবিধাই পাওয়া যাবে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে। সংযোগ থাকবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রো রেলের সঙ্গে।আধুনিক মানের সুযোগ সুবিধা রেখে এ টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয় ২০১৩ সালে। সে সময় এর প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। এরপর নানা জটিলতায় কাজ শুরু করতে পারেনি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। প্রায় ছয় বছর পর কাজ শুরু হওয়ায় আধুনিক মানের এ টার্মিনাল নির্মাণে বর্তমানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালের পূর্ব পাশে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার জমির ওপর তৈরি হবে এটি। পদ্মফুলের আদলের এ টার্মিনালে থাকবে ২৪ বোর্ডিং ব্রিজ। তবে মধ্যে প্রথম ধাপে করা হচ্ছে ১২টি। বহির্গমনের জন্য থাকছে ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার, ৬৬টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার। এছাড়া দু’টি র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে, ৩৫টি উড়োজাহাজ রাখার পার্কি বে, বহুতল কার পার্কিংসহ থাকছে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। আলাদাভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে ৩৫ হাজার ৮৬৩ বর্গমিটারের আমদানি কার্গো ভিলেজ ও ২৭ হাজার ১৪৪ বর্গমিটারের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ। টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে নির্মাণ করা হবে ভূ-গর্ভস্থ পথ ও উড়াল সেতু। যার মাধ্যমে যুক্ত থাকবে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। পুরো টার্মিনাল পরিচালিত হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। আর প্রকল্পটির নির্মাণ মেয়াদ ধরা হয়েছে ৪ বছর।