কাজের সুযোগ পান না কাউন্সিলরা, সংরক্ষিতরাও অবহেলিত
এলাকার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ পান না ওয়ার্ড কাউন্সিলরা। অবহেলিত থেকে যান সংরক্ষিতরাও। এমন অভিযোগ করেছেন গত মেয়াদে ঢাকার দুই সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা। অথচ ওয়ার্ডের কাজের বাজেট এলে তা সাধারণ কাউন্সিলরদের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়র কেন্দ্রিক নগর ব্যবস্থাপনা থেকে বের হতে না পারলে সুফল মিলবে না।
বড় পরিসরে ভাবলে সিটি নির্বাচনের স্পট লাইট মেয়য়কে ঘিরেই। তবে ওয়ার্ডগুলোতে গেলে দেখা যায় সেখানে সমান গুরুত্ব পাচ্ছে কে হবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
অথচ নিজ নিজ এলাকায় কতটা জনসম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের। বিগত চলতি বছরই ডেঙ্গু কিংবা বায়ু দূষণের মত বিষয়গুলো যখন সামনে এসেছে বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তারা।
একজন বলেন, 'সাংবিধানিকভাবে একজন কাউন্সিলরকে কি কি কাজ থাকা উচিত তাদের কাজের পরিধিটা কতটুকু সেটা সংসদে পাস করিয়ে নেয়ার সময় হয়েছে।'
নির্বাচন এলে ঢাকঢোল পিটিয়ে ভোটারদের নজর কারলেও পরের সময়টাতে অনেকটাই ম্লান এসব কাউন্সিলররা দায় দিচ্ছেন প্রচলিত নগর সরকার ব্যবস্তাকে।
একই অবস্থা সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের ক্ষেত্রেও। কাউন্সিলর প্রাথীরা জানান তারা কাজের সুযোগ পান না।
সংরক্ষিত আসনের এক নারী প্রার্থী জানান সংরক্ষিত নামটা একটু অপমান জনক।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাউন্সিলরদে কর্মযজ্ঞ বাড়লে আরো গতিশীল হবে নগর। সেক্ষেত্র প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলেই এই অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসা সম্ভব।
স্থানীয় সরকার বিভাগের এক বিশেষজ্ঞ বলেন, 'মেয়র হচ্ছেন লিডার, ‘মেয়রেরর কাজ হচ্ছে এই কাউন্সিলরদের অ্যাক্টিভেট করা। যেই নির্বাচিত হবেন প্রথম যদি এই ম্যাসেজ যদি দেয় তাহলে সিটির কাজ ভালো হবে। কারণ সিটিতে মেয়রের একার কাজ না। কারণ সে একটা পরিষদ নিয়ে কাজ করছে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৪টি সাধারণ এবং ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড। আর ৭৫টি সাধারণ এবং ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের রয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে।